ডিজেলের মূল্য এবং বাসের ভাড়া বৃদ্ধি অমানবিক উল্লেখ করে তা পুন:নির্ধারনের দাবি জানিয়েছে ১৪ দল।মঙ্গলবার বিকেলে, জোট সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর ইস্কাটনের বাসভবনে শরীক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক হয়। বৈঠকে ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ জানান ক্ষমতাসীন জোটের শরীকরা। এসময় তারা ভোটে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার তাগিদ দেন।
তবে বৈঠকে একসঙ্গে ডিজেল-কেরোসিন লিটারে ১৫ টাকা বৃদ্ধিকে অযৌক্তি উল্লেখ করে জোটের নেতারা বলেন, এর কারণে মানুষের জীবনযাত্রার ওপর বাড়তি চাপ পড়ছে। এটি অমানবিক বলেও মন্তব্য করেন তারা।
গত বুধবার থেকে ডিজেল-কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা এবং ফার্নেস অয়েলের দাম লিটারে ৫৯ টাকা থেকে ৬২ টাকা করা হয়। নতুন এই দাম বুধবার রাত ১২টা থেকেই কার্যকর হয়।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর জেরে গত শুক্রবার সকাল ভোর থেকে সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘট শুরু করে মালিক-শ্রমিকরা। এর পরের দিন শনিবার থেকে শতভাগ ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে নৌযানের ধর্মঘটের ডাক দেয় লঞ্চ মালিকরা। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ডিজেলের দাম এক লাফে ১৫ টাকা বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে পণ্যবাহী যান চলাচল কয়েকদিন বন্ধ রাখে মালিক ও শ্রমিকরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
রোববার বিকেলে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক শেষে ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়। আর সোমবার ৩০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়ার পর মঙ্গলবার থেকে পুরোদমে চলাচল শুরু করে ট্রাক কাভার্ড ভ্যান।
দূরপাল্লায় গড়ে ২৭ আর মহানগরে বাস ভাড়া বেড়েছে ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ। এদিকে ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে যাত্রীবাহী লঞ্চের ভাড়াও বাড়লো ৩৫ শতাংশ। এই হিসাবে কিলোমিটারপ্রতি ৬০ পয়সা করে ভাড়া বাড়ানো হয়।
তবে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়তি ভাড়ার প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারেও। চালের দাম কেজিপ্রতি ২ টাকার মত বেড়েছে। এদিকে ঊর্ধ্বমুখী তেল, ডাল, চিনির মত নিত্যপণ্যের দামও।
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে কৃষিপণ্যের উৎপাদন ও পরিবহন খরচ কয়েক স্তরে বাড়ে। তাই সামগ্রিকভাবে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।
খুলনা গেজেট/ এস আই