ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সুলতানা আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ সকালে রাজধানীর টিকাটুলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ আবেদন করেন পল্টন মডেল থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মু. আশরাফুল আলম।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বরিশালের সমাবেশ শেষ করে লঞ্চে করে ঢাকায় ফিরেন সুলতানা আহমেদ। সকালে লঞ্চঘাট থেকে বাসায় ফেরার পথে টিকাটুলী থেকে র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে।
তাকে গ্রেপ্তারের পর পল্টন মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১, ২৫, ২৯, ৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলা হয়েছে।
সুলতানার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হেয় প্রতিপন্ন’ করতে ‘বিদ্বেষ ও উস্কানিমূলক বক্তব্য’ দিয়েছেন এবং ‘বিচার বিভাগকে হেয়’ করে বক্তব্য দিয়েছেন। গত ১ নভেম্বর বিএনপির কর্মসূচিতে তিনি এমন বক্তব্য দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলার এজাহারে।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, সুলতানা ‘তার নিজ দলীয় কেন্দ্রীয় নেতাদের পরামর্শে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে’ মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ সম্পর্কে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য প্রচার করার মাধ্যমে তাদের মানহানী করেছেন এবং ‘দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আইন-শৃঙ্খলা অবনতিসহ আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে স্বাধীনতা যুদ্ধ, বিচার বিভাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে’ এমন বক্তব্য প্রচার করেছেন।
মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল মদদদাতা ও চক্রান্তকারীদের গ্রেপ্তারের স্বার্থে সুলতানা আহাম্মেদকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন বলে আবেদনে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।