ডাক সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, একেবারে উপজেলা পর্যায়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে যেখানে ডাকঘর আছে সেখানেই চিলিন সিস্টেম বা কুলিং সিস্টেম ব্যবস্থা রাখতে হবে। যাতে যেকোনো পচনশীল দ্রব্য তরকারি ফলমূল রান্না করা খাবার পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা থাকে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নবনির্মিত ডাক ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী ভবনের উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের প্রায় সাড়ে ৮ হাজার ডাকঘর ডিজিটালে রূপান্তর হয়েছে। আগে আমরা পুরো বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ হাজারের মতো ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। সেই সঙ্গে ডাকঘরগুলোকে যাতে ডিজিটাল করা যায় তার জন্য কাজ শুরু করেছিলাম।
তিনি বলেন, ডাকঘর যেখানে আছে, সেখানেই যেন কুলিং সিস্টেম থাকে। প্রত্যেকটি উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যন্ত যেন এই সেবাটা থাকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, (ডাক বিভাগের) আধুনিক সুন্দর ভবন হয়ে গেছে। খুবই চমৎকার ডিজাইন। তবে ওর সঙ্গে দুই একটা চিঠি যাচ্ছে এ রকম কিছু থাকলে আরও ভালো লাগত।
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ৩৮টি মডেল ডাকঘর নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছি। কিন্তু আমি চাইব সারা দেশে এটা করে দিতে।
সরকার প্রধান বলেন, ঘরে বসে অনেকে কাজ করে পয়সা উপার্জন করতে পারবে। সেই সঙ্গে কর্মসংস্থান হবে, মানুষ সেবাটাও পাবে। আমাদের সেই ব্যবস্থাটাও করতে হবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমরা চুক্তি করছি ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের আওতায়। দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু অনলাইন ক্রয়-বিক্রয় জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, কাজেই ডাকঘর পিছিয়ে থাকলে চলবে না। ডাক বিভাগকে আরও ব্যবস্থা নিতে হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম