সাতক্ষীরা এম আলি পলি ক্লিনিকে ডাঃ মোঃ সহিদুর রহমানের ভূল চিকিৎসায় ফিস্টুলা রোগী রোজিনা খাতুন এখন ক্যান্সারে আক্রান্ত বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনার প্রতিকার দাবি করে ভুক্তভোগি ক্যান্সার আক্রান্ত রোজিনা খাতুনের স্বামী শহরের রসুলপুর এলাকার মোঃ সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে ডাঃ মোঃ সহিদুর রহমানসহ দুইজনকে আসামি করে বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন
বাদির অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাদিক তার স্ত্রী রোজিনা খাতুন শারীরিক অসুস্থ্যতার কথা জানালে তিনি তাকে সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুর এলাকায় সার্কিট হাউজ মোড়ে অবস্থিত এম আলি পলি ক্লিনিকে ডাঃ মোঃ সহিদুর রহমানের চেম্বারে নিয়ে যায়। এরপর ডা. মোঃ সহিদুর রহমান তার স্ত্রীর ফেস্টুলা অপারেশন করার পরামর্শ দেন। সেই প্রেক্ষিতে বাদি তার স্ত্রীকে ওই ডাক্তারের দ্বারা অপারেশন করিয়ে নেয়। অপারেশন পরবর্তী সময়ে ডাক্তার বিভিন্ন ঔষধ তার স্ত্রীকে দেয়া ব্যবস্থাপত্রে লিখে দেন। এছাড়াও পরবর্তীতে তার স্ত্রীর সমস্যা দেখা দিলে বাদি তার স্ত্রীকে ফের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। তখনও ডাক্তার বিভিন্ন ঔষধ লিখে দেয়। ওই ঔষধগুলো খেয়ে তার স্ত্রীর সমস্যা নিরাময় হয়নি, বরং তার স্ত্রীর সমস্যা দিনদিন আশংঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকে। তখন সাইফুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে ডাঃ সুজিত রায়ের কাছে পরামর্শ নিতে যায়। তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, তার স্ত্রী রোজিনা খাতুন ক্যান্সারে আক্রান্ত। এরপর রোজিনা খাতুনের স্বামী সাইফুল ডা. মোঃ সহিদুর রহমানকে বিষয়টি জানালে তার পক্ষ নিয়ে এম আলি পলি ক্লিনিকের পরিচালক মোঃ মিল্টন মামলার বাদিসহ তার স্ত্রীকে গালিগালাজসহ বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি দেখায়। এতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এম আলি পলি ক্লিনিকের ডাঃ মোঃ সহিদুর রহমানের ভূল চিকিৎসায় তার স্ত্রী রোজিনা খাতুনের পেছনে প্রায় ১ লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়ে গেছে। তার স্বামী মোঃ সাইফুল ইসলাস (৬৮)একজন শারীরিক প্রতিবন্ধি। তাদের ৩টি সন্তান রয়েছে। দৃশ্যমান কোনো উপার্জনের পথ না থাকায় নিরুপায় জীবন-যাপন করছে পরিবারটি। তার উপর স্ত্রী রোজিনা খাতুনের চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে অক্ষম শারীরিক প্রতিবন্ধি স্বামী সাইফুল ইসলাস। সেজন্য তিনি ন্যায় বিচারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানান।
সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জাহিদ মোঃ ফখরুল আলম খান অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/ বিএমএস