ভারতের উড়িষ্যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে কলকাতার হাওড়া-চেন্নাইগামী ট্রেন করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৩৩ জন। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত লাগোয়া উড়িষ্যার বালেশ্বর জেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রায় ৯০০ জন আহত হয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনটিতে বাংলাদেশি যাত্রী থাকতে পারে। চিকিৎসার জন্য অনেক বাংলাদেশি এই ট্রেনে কলকাতা থেকে চেন্নাই যাতায়াত করেন। দুর্ঘটনায় কোনো বাংলাদেশি থাকলে তাদের তথ্য জানতে হটলাইন (+৯১৯০৩৮৩৫৩৫৩৩ হোয়াটসঅ্যাপ) নম্বর দিয়েছে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন।
শুক্রবার (২ জুন) রাতে উপ-হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই হটলাইনের কথা জানিয়েছে।
উপহাইকমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাধারণ বাংলাদেশিরা চিকিৎসার জন্য ওই ট্রেনটিতে যাতায়াত করেন। তাই দুর্ঘটনার পর ভারতের রেল কর্তৃপক্ষ ও ওড়িশা রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে ট্রেনটি পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার শালিমার স্টেশন থেকে ছেড়েছিল এবং চেন্নাই যাচ্ছিল। ট্রেনটিতে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বহু বাংলাদেশি নাগরিক দক্ষিণের ভেলোরে চিকিৎসা নিতে নিয়মিত যাতায়াত করেন। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন অনেক বাংলাদেশি।
জানা গেছে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে ৭টার মধ্যে বালেশ্বর স্টেশন থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বাহানাগা স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়ে যায় ট্রেনটির একাধিক বগি। মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগেই ট্রেনটির তিনটি বগি বাদ দিয়ে ১৮টি বগি লাইনচ্যুত হয়। লাইনচ্যুত হয়েছে ট্রেনটির ইঞ্জিনের পর থেকে স্লিপার ক্লাস, প্যান্ট্রি কারসহ যাত্রীবাহী বগিগুলো। দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটি মালগাড়ির উপর উঠে যায়।
রেল সূত্রে জানানো হয়েছে ঘটনায় বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে ঠিক কত যাত্রী আহত বা কেউ নিহত হয়েছেন কী না তা এখনও রেলের তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। বিশেষত রাতের অন্ধকারে ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঠিক কতটা ভয়াবহ হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রাই প্রথমে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান রেল কর্মকর্তা-কর্মীসহ বিশাল পুলিশ ও উদ্ধারকারী বাহিনী। রিলিফ ভ্যান ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এসজেড