দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর জানুয়ারিতে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডোজ) বা সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগের প্রধান পদে ইলন মাস্ককে নিয়োগ দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবশেষে সেই পদ থেকে অব্যাহতি নিলেন ধনকুবের মাস্ক।
বুধবার (২৮ মে) সামাজিকমাধ্যম এক্সে তিনি লেখেন, ‘বিশেষ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আমার মেয়াদ শেষ হয়েছে। সরকারি অর্থ অপচয় বন্ধ করতে আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাই। ডোজ ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে কারণ এটি সরকারের কাজের একটি অংশ হয়ে উঠেছে।’
এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের বাজেট বিলের সঙ্গে মতানৈক্য হওয়ার পরই নিজের পদ ছেড়েছেন মাস্ক।
পরে রয়টার্স এক সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, বুধবারই সরকারি পদ থেকে সরে যাবেন মাস্ক।
মাস্কের সরে যাওয়া নিয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হলেও ট্রাম্পের সঙ্গে তার কোনো কথা হয়নি বলেই জানা গেছে।
বিশেষ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ইলন মাস্কের সরকারি দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ৩০ মে। তবে মেয়াদ শেষের আগেই সরে যাচ্ছেন প্রযুক্তি খাতের এই শীর্ষ ব্যক্তিত্ব।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডোজ ফেডারেল সরকারের ২৩ লাখ কর্মী থেকে ১২ শতাংশ বা প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার জনকে ছাঁটাই করতে পেরেছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মঙ্গলবার ইলন মাস্ক কংগ্রেসে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের কর ও বাজেট-সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের বিষগুলো নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন।
এ বিষয়ে সিবিএস নিউজকে ইলন মাস্ক বলেন, ‘ব্যয়বহুল বিলটি দেখে আমি হতাশ হয়েছি। সত্যি বলতে, এটা বাজেট ঘাটতি কমানোর বদলে বরং আরও বাড়াবে। সেই সঙ্গে ডোজের কাজের অবমূল্যায়ন করবে।’
ইলন মাস্কের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে শুধু বিতর্ক নয়, প্রতিবাদও হয়েছে। বেশ কিছু বিনিয়োগকারী ইলন মাস্কের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের উপদেষ্টার দায়িত্ব ছেড়ে দিতে এবং টেসলার ব্যবস্থাপনায় আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এমএনএস