জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার প্রত্যাহারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকে চ্যালেঞ্জ করে ডেমোক্র্যাট-নেতৃত্বাধীন রাজ্য এবং নাগরিক অধিকার গোষ্ঠীগুলো একাধিক মামলা দায়ের করেছে। বিরোধীরা আদালতে ট্রাম্পের এজেন্ডাকে আটকাতে প্রাথমিক এই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। খবর রয়টার্সের।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ট্রাম্পের আদেশের বিরুদ্ধে মামলাগুলো করা হয়।
গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ গ্রহণের পর ট্রাম্প মার্কিন সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী যেসব শিশুর মা বা বাবা মার্কিন নাগরিক বা আইনত স্থায়ী বাসিন্দা নন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না।
কলম্বিয়া এবং সান ফ্রান্সিসকো শহরসহ ২২টি ডেমোক্র্যাট-নেতৃত্বাধীন রাজ্য বোস্টন এবং সিয়াটলের ফেডারেল আদালতে জোড়া মামলা দায়ের করেছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে ট্রাম্প মার্কিন সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন।
ট্রাম্প নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন, অভিবাসী সংগঠন এবং একজন গর্ভবতী মা একই ধরনের দুটি মামলা দায়ের করেন।
ট্রাম্পের অভিবাসন দমন অভিযানের একটি মূল অংশকে লক্ষ্য করে এই মামলাগুলি করা হয়েছে। ম্যাসাচুসেটস অ্যাটর্নি জেনারেল আন্দ্রেয়া জয় ক্যাম্পবেলের অফিস জানিয়েছে, ট্রাম্পের এই আদেশ বহাল থাকলে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর জন্ম নেওয়া এক লাখ ৫০ হাজারের বেশি শিশু নাগরিকত্বের অধিকার বঞ্চিত হবে। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা নেই।”
রাজ্যগুলি বলছে, নাগরিকত্ব হারানোর ফলে সেই ব্যক্তিরা স্বাস্থ্য বীমার মতো ফেডারেল প্রোগ্রামগুলিতে প্রবেশাধিকার পাবে না এবং যখন তারা বয়স্ক হবে, তখন আইনত কাজ করতে বা ভোট দিতে পারবে না।
নিউ জার্সির অ্যাটর্নি জেনারেল ম্যাথিউ প্লাটকিন এক বিবৃতিতে বলেন, “আজকের তাৎক্ষণিক মামলা ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠায় যে আমরা আমাদের বাসিন্দাদের এবং তাদের মৌলিক সাংবিধানিক অধিকারের পক্ষে দাঁড়াবো।”
হোয়াইট হাউসে এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধ জানালেও তারা জবাব দেয়নি।
খুলনা গেজেট/এনএম