দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের মধ্যকার টেস্ট সিরিজে আম্পায়ারিং নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে। স্বাগতিক দেশের আম্পায়াররা বেশ কিছু সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে দিয়েছেন, যা পক্ষে দেওয়ার সুযোগ ছিল। তবে তা সত্ত্বেও আম্পায়ারদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে নারাজ বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স।
চলমান টেস্ট সিরিজে আম্পায়ারদের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে এসেছে। ক্রিকেট মাঠে আম্পায়াররাই সর্বেসর্বা। পেশাদারিত্বের জায়গা থেকেই হয়ত, সিডন্স আম্পায়ারদের ভুলত্রুটি বড় করে দেখতে নারাজ। সেই সাথে তার যুক্তি, আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ থাকলে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম বা ডিআরএসের সুযোগ তো খোলাই আছে।
সিডন্স বলেন, ‘আমরা হয়ত একটু হতাশ, তবে আম্পায়াররা সর্বোপরি চেষ্টা করছেন। এই সিরিজে হয়ত ভুল কিছু সিদ্ধান্ত তারা দিয়েছেন, তবে এটা হবেই। এজন্যই তো রেফারেল পদ্ধতি আছে।’
সিডন্স তাই আস্থা রাখছেন ডিআরএসে। তিনি জানান, ‘তবে আমরা যতটা চাই, তার চেয়েও বেশি রিভিউয়ের আশ্রয় নিতে হচ্ছে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আমাদের শেষ উইকেটের জন্য আমরা শেষ রিভিউটা কাজে লাগিয়েছিল। তবে এতে খেলায় কোনো প্রভাব পড়েনি। ভুলগুলোর ক্ষেত্রে তো আমরা রিভিউ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছি।’
করোনার কারণে টেস্টে স্বাগতিক দেশের আম্পায়ার দিয়ে টেস্ট ম্যাচ পরিচালনার নিয়ম করেছিল আইসিসি, যাতে আম্পায়ারদের দৌড়ঝাঁপ আর ভোগান্তি কমে। তবে করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এলেও সেই নিয়ম বহাল রয়েছে এখনও। চলমান টেস্ট সিরিজে আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় অনেকেই নিরপেক্ষ আম্পায়ার ব্যবহারের দাবি তুলেছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই