২২ ওয়ানডে ও ১৫টি টি-টোয়েন্টি খেললেও ক্যারিয়ারে এই প্রথমবারের মতো টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। শ্রীলঙ্কায় তিন টেস্টের সফরের মূল দলে জায়গা হবে কিনা- সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে সাইফুদ্দিন আশাবাদী- মূল দলে জায়গা হবে তার। আর সেই সুযোগ পেলে টেস্ট দলেও নিজের জায়গাকে স্থায়ী করে নেওয়ার আত্মবিশ্বাস আছে এই তরুণের- ‘আমি প্রথমবারের মত টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পেয়েছি। খুবই আনন্দিত আমি, চেষ্টা করবো নিজের সেরাটা দেওয়ার এবং যতটুকু পারি শেখার চেষ্টা করবো। প্রত্যেক ক্রিকেটারের টেস্ট ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন থাকে, আমিও ব্যতিক্রম নই। চেষ্টা থাকবে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করা। আমার এখন সবচেয়ে বড় লক্ষ্য নিজেকে ফিট করা, স্কিল উন্নতি করা। আমি কিছুটা চিন্তিত আমার স্কিল নিয়ে। প্রায় ৬-৭ মাস আমি বোলিং, ব্যাটিং সেভাবে করতে পারিনি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটে যেভাবে ডমিনেট করতে হয় সে অনুযায়ী। তারপরও যে সময়টা আছে, যদি শ্রীলঙ্কায় যাই সেখানে যে সময়টা পাবো নিজেকে মেলে দেওয়ার চেষ্টা করবো।’
করোনাকালের এই সময়টায় ফেনীতে নিজের দেশের বাড়িতেই ছিলেন এই পেসার। সেই প্রসঙ্গে বলছিলেন- ‘করোনার সময়টা আমার জন্য কিছুটা কঠিন ছিল। যেহেতু আমি নিজ জেলা ফেনীতে ছিলাম। ফিটনেসের কাজ করতে পেরেছি কিন্তু স্কিল নিয়ে অন্য প্লেয়ারদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছি। ব্যাটিংটা যতটুকু পেরেছি সিমেন্টের পিচে করেছি, বোলিংটা একদমই করতে পারিনি। যার কারণে আজকেও বোলিং করেছি, গত দুইদিনও বোলিং করেছি। ছন্দ পেতে আরও সময় লাগবে। কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছি আমি। তারপরও আশাবাদী আরও কিছুদিন বোলিং করতে পারলে হয়তোবা আগের রূপে ফিরে আসতে পারবো। ৬-৭ মাস পর দলের সাথে মিরপুর গ্রাউন্ডে ফিরতে পেরে খুবই আনন্দিত। প্রথমবারের মত সেন্টার উইকেটে বল করতে পেরে উচ্ছ্বাসিত। আরও কিছুদিন সময় পাবো, তো যতটুকু ওভারকাম করা যায়, নিজেকে ডেভেলপ করা যায় এই জিনিসটা নিয়ে কাজ করবো।’
২০১৭ সালের এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের। পেস বোলার কাম লেটঅর্ডারে ভালো ব্যাটিং করতে পারে- এমন একজন অলরাউন্ডারের খোঁজ পায় তার মধ্যে বাংলাদেশ। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার পর থেকে ফিটনেস নিয়ে প্রায়শ শিরোনাম হন সাইফুদ্দিন। চোটের কারণে টানা লম্বা সময় ক্রিকেটের বাইরেও থাকতে হয়েছে তাকে। নতুন সিরিজ এলেই তাই চোট চিন্তা নতুন আতঙ্ক ছড়ায়- ‘সবসময় আমার একটা চিন্তা থাকে চোট নিয়ে। যেহেতু আমার মেজর একটা চোট আছে, ব্যাক পেইন। আমি প্রায় ৬-৭ মাস মাঠের বাইরে ছিলাম, এরপর ফিট হয়ে ফিরে এসে দুই একটা ম্যাচ খেলার পর করোনার কারণে ৬ মাস পিছিয়ে গেলাম। প্রায় এক বছরের মত আমি মাঠের বাইরে। তাই ফিটনেস নিয়ে কাজ বা ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি। যেহেতু সামনে অনেকগুলো ম্যাচ আছে, নিজেকে যত তাড়াতাড়ি ওভারকাম করতে পারবো ততই আমার জন্য বেটার। আমার লক্ষ্যই থাকবে এটা, যত তাড়াতাড়ি ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পাবো আমার ও দলের জন্যই ভালো।’
খুলনা গেজেট/এএমআর