সাতক্ষীরাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকাকে দুর্যোগ প্রবন এলাকা ঘোষণা করে টেকসই বোড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন জেলা নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার (২৮ মে) বেলা ১১টায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির এক সভায় এই দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের আহবায়ক মোঃ আনিসুর রহিমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, সুধাংশু শেখর সরকার, মাধব চন্দ্র দত্ত, নিত্যা নন্দ সরকার, এড. মুনির উদ্দিন, জিএম মনিরুজ্জামান, এড. আল মাহামুদ পলাশ, রবিউল ইসলাম রবি, আকতারুজ্জামান মহব্বত, মুনসুর রহমান, আসাদুজ্জামান লাভলু, আলী নুর খান বাবলু, এড. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারের পানিতে আবারো তলিয়ে গেছে সাতক্ষীরাসহ উপকূলীয় এলাকা। লাখ লাখ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে ঘেরের মাছ। মানুষের বাড়ি-ঘর-আশ্রয়সহ শেষ সম্বলগুলোও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধের অবস্থা পূর্বের চেয়ে আরো খারাপ হয়েছে। যদিও যে কোন দুর্যোগের পর উপকূলীয় বেড়িবাঁধগুলোর সংস্কারে সরকারীভাবে শতশত কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু একটি দুর্যোগের পর যখন আর একটি দুর্যোগ আসে তখন বলা হয় ‘বাঁধগুলো ৬০ এর দশকে নির্মিত। তারপর আর কোন কাজ হয়নি। ফলে দুর্যোগ মোকাবেলার মত এখন আর এগুলোর শক্তি নেই।’ তাহলে প্রশ্ন আইলা থেকে আম্পান, আম্পান থেকে ইয়াস পর্যন্ত বাঁধ সংস্কারে যে শত শত কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে সে টাকা গেল কই? এ প্রশ্ন তুলেছেন সাতক্ষীরার নাগরিক নেতৃবৃন্দ।
সভায় সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকাকে দুর্যোগ প্রবন এলাকা ঘোষণা, টেকসই বোড়িবাঁধ নির্মাণ, এলাকার উন্নয়নে পৃথক অথরিটি গঠন এবং বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবীতে আগামী ৩১ মে বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা ডিসি অফিস সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি যুগ্ম সদস্য সচিব আলী নুর খান বাবলু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেএম