কক্সবাজারের টেকনাফে র্যাবের সঙ্গে কয়েক ঘণ্টা ঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধে জকির বাহিনীর প্রধানসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। র্যাবের দাবি, তিনজনই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এ সময় র্যাবের এক সদস্য গুলিবিদ্ধসহ দুই জন আহত হয়েছে বলে দাবী করেছেন র্যাব।
মঙ্গলবার বিকালে টেকনাফ শালবাগান পাহাড়ি এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহত ডাকাত জকির টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরের হাজী আব্দুল আমিনের ছেলে। বাকি দুইজনের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান জানান, মাদক ও অস্ত্রসহ পাহাড়ে ডাকাত দলের সদস্যরা অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিত্বে র্যাবের একটি দল টেকনাফ শালবাগান পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত জকির তার অস্ত্রধারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় র্যাব সদস্যরা তাদের পিছু নেয়। একপর্যায়ে জকিরসহ তার বাহিনীর লোকজন র্যাবের ওপর গুলি ছোড়ে।
তিনি জানান, আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত থেমে থেমে কয়েক ঘণ্টা গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। এ সময় র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে জকির বাহিনীর প্রধান জকিরসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করেন। পরে জকিরের আস্তানা থেকে দুইটি পিস্তল, দুইটি বন্দুক এবং পাঁচটি ওয়ান শুটার, ২৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাবের এক সদস্য গুলিবিদ্ধসহ দুইজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান অভিযান পরিচালনাকারী দলের প্রধান মেজর মেহেদী হাসান।
তিনি আরও জানান, নিহত ডাকাত জকিরের বিরুদ্ধে ডাকাতি, অপহরণ, নারী নির্যাতন, অস্ত্র ও হত্যাসহ ২০টির অধিক মামলা রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি