গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ৯ম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের প্রতিবাদে ও ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসি । বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
আজ সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলার জিটি স্কুলের সামনে গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়কের উপর দাঁড়িয়ে হাতে হাত ধরে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। এসময় দোষীদের শাস্তির দাবীতে বিভিন্ন ধরনের লেখা প্লাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি লিমন বিশ্বাস, সহপাঠি মিতু হক বক্তব্য রাখেন। বক্তারা দোষীদের দ্রæত গ্রেফতার করে শাস্তির দাবী জানায়।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় উপজেলার একটি কোচিং সেন্টার থেকে পড়া শেষ করে বন্ধু মিতুল হোসেনের সঙ্গে বাসায় ফিরছিল ওই শিক্ষার্থী। তারা নতুন বাজার বটতলা এলাকায় পৌঁছলে ইজিবাইক চালকের সহযোগিতায় মিতুল, রসুল খান ও রাজীব শেখ চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যান ওই শিক্ষার্থীকে।
পরে ওই তিন যুবক স্কুল ছাত্রীকে চেতনানাশক স্প্রে করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী বাধা দিলে তার মাথায় আঘাত করলে এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে ধর্ষণ করে। রাত ৮টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে তার বাসার সামনে ফেলে রেখে যায়।
পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। রাতে অবস্থার অবনতি ঘটলে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকালে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
ভুক্তোভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, এ ঘটনায় আমার পরিবারের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় টুঙ্গিপাড়া থানায় তিন জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছি। আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
আসামিরা হলেন, উপজেলার গওহরডাঙ্গা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মিতুল হোসেন (১৫), টুঙ্গিপাড়া গ্রামের আনোয়ার উদ্দিন খানের ছেলে রসুল খান (২৫) ও শেখ শুকুর আহম্মেদের ছেলে রাজিব শেখ (২২)।
টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম নাসিম জানান, এ বিষযে ভুক্তোভোগীর বাবা টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই