খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ | ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গাজীপুরের শ্রীপুরের ভাংনাহাটিতে বোতাম তৈরির কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস
  শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল

টুংটাং শব্দে মুখরিত কামার পট্টি, তবুও নেই ক্রেতাদের ভিড়

আরিফ ঢালী, চুলকাঠি

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। প্রতি বছর এই সময়টার জন্য অপেক্ষায় থাকেন কামার শিল্পীরা। কোরবানি ঈদের ২০-১৫ দিন আগ থেকেই বেচা-কেনার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে কামারেরা। এরই মধ্যে চলছে বিক্রির ও অর্ডারের কাজ। সারাদিন টুংটাং শব্দে মুখরিত বাগেরহাটের চুলকাঠি বাজারের কামার পট্টি ।

কেউ ভারী হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছেন দগদগে লাল লোহার শিখা, আবার কেউ শান দিচ্ছেন ছুরি কিংবা বঁটি, কেউবা আবার কয়লার আগুনে বাতাস দিচ্ছেন। প্রতিদিন ছুরি, দা, বটি, চাপাতি বানানো হচ্ছে। চুলকাঠি ও তার আশেপাশের কুরবানি দাতারা আসেন কামারদের কাছে। জমজমাট থাকতো কামার পট্টি। কিন্তু করোনার পরিস্থিতির কারণে আগের সেই আমেজ আর নেই তাদেরও। বিগত বছরের তুলনায় কাজ কমেছে দুই-তৃতীয়াংশ। কিন্তু দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় একেবারে নেই বললেই চলে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, চুলকাঠির বিভিন্ন কামারের দোকানে অন্যান্য বছরের তুলনায় কাজ কম থাকলেও মোটামোটি সবাই কম বেশি কাজে ব্যস্ত আছে।

কামার কুমারেশ কর্মকার বলেন, অন্যান্য বছরে যে অর্ডার পেতাম তা একবারেই নেই। সারাদিনে ১০ থেকে ১৫ টা দা-বটিও বিক্রি হয় না।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সাধারণত বঁটি, দা, বিভিন্ন ধরনের ছুরি, কাবাব ছুরি, জবাই ছুরি তৈরি করেন তারা। এছাড়া শান দেওয়ার জন্য এক ধরনের লোহার স্টিকও বিক্রি করে। প্রকারভেদে বটির দাম তিনশ’ থেকে আটশ, গরু জবাইয়ের ছুরি ২শ’ থেকে পাচশ’ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়া অন্যান্য ছুরি দুইশ’ থেকে পাঁচশ’ টাকায় বিক্রি করা হয়।

রাখালগাছি এলাকার এক কামারের দোকানে আসা ক্রেতা বলেন, অন্যান্য বছর আমাদের ঘরের যে ছুরি, দা, বটি, জবাই ছুরিসহ সব মিলিয়ে আমার আসতো ১৫শ’ টাকা। এ বছর করোনার প্রভাবে আমি তা দিলাম মাত্র ৮৫০ টাকায়, তাও আমার কোন দর-দাম ছাড়াই।

কামার সাধন কর্মকার বলেন, কাজ-রুজি নাই বললেই চলে। বাপ-দাদার পেশা হিসেবে লোহা পেটানোর কাজ করে আসছি। বৃদ্ধ বয়সেও কাজ করে যাচ্ছি। তবে আমার সন্তানদের কেউ এ পেশায় আসেনি এবং তাদের আসতেও বলা হয়নি ।

 

খুলনা গেজেট / এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!