খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে করা ৬ মামলা বাতিল করেছে হাইকোর্ট
  জুলাই-আগস্টে হত্যা : সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি মেহেদীর জামিন স্থগিত
  সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের রাজা অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া প্রতিবেদক

নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি জিতল অজিরা! ফাইনাল ঠিক ফাইনালের মতো হলো কোথায়?

টস হেরে রাতের আলোয় দুবাই স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে কিউইরা কম যায়নি। কেন উইলিয়ামসনের রেকর্ড ছোঁয়া ইনিংসে নিউজিল্যান্ড তুলে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান। প্রথম ১০ ওভারে তারা তুলেছিল মাত্র ৫৭ রান। পরের ১০ ওভারে ঝড় তুলে ১১৫! জবাব দিতে নেমে ১৮.৫ ওভারে ২ উইকেটে হারিয়ে অধরা ট্রফিটাও ছুঁয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। পথ দেখান ডেভিড ওয়ার্নার আর মিশেল মার্শ। তাদের ব্যাটিংয়ে সপ্তমবারে এসে সাফল্যের সপ্তম স্বর্গে তাসমান পাড়ের দেশ!

অবশ্য ট্রান্স-তাসমান ফাইনাল ঠিক হওয়ার পরই নিশ্চিত ছিল এবার নতুন চ্যাম্পিয়ন দেখতে যাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্ব। দুই প্রতিবেশীর লড়াইটা ঠিক ঠাক জমলো কোথায়? কিউইদের চ্যালেঞ্জকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে প্রথমবারের মতো ২০ ওভারের বিশ্বকাপের ট্রফিটা নিজেদের করে নিল অজিরা!

জবাব দিতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভাল ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। দলীয় ১৫ রানে সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ (৫)। কিন্তু এরপরই দুবাইয়ের উইকেটটা চিনে নিয়ে দেখে-শুনে খেলতে থাকেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে অজিদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৪৩ রান। ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন সেমি-ফাইনাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৯ করে ফেরা ওয়ার্নার।

অন্যপ্রান্তে তাকে বেশ সঙ্গ দেন মার্শ। তবে হাফসেঞ্চুরি করেই ভুল করে বসেন ওয়ার্নার। ট্রেন্ট বোল্টের পেসের সামনে লাইন মিস করায় উড়ে যায় স্ট্যাম্প! ব্যস, ৩৮ বলে ৫৩ করে ফিরে যান ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়া তখন ১২.২ ওভারে ২ উইকেটে ১০৭। মার্শ তখন অন্য প্রান্তে অপ্রতিরোধ্য। ৩১ বলে তুলে নেন ফিফটি। অফ ফর্ম কাটিয়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও লড়লেন। দলকে বিশ্বকাপ এনে দিয়ে মার্শ অপরাজিত ৫৫ বলে ৭৭। ম্যাক্সওয়েল ১৮ বলে অপরাজিত ২৮।

দুবাইয়ে শিশির ঝরা রাতে পরে বল করাটা যে কতো যন্ত্রণার বুঝলেন টিম সাউদি-অ্যাডাম মিলনেরা। বল গ্রিপ করাটাও কষ্ট হচ্ছিল। অবশ্য এটাও ঠিক ব্যাটিং উইকেটে আরেকটু বড় হতে পারতো নিউজিল্যান্ডের ইনিংস!

গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকেও উড়িয়ে খেলেন উইলিয়ামসন। তাকে টানা দুটি বিশাল ছক্কায় ফিফটি করেন তুলে নেন মাত্র ৩২ বলে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সাতটি ফাইনালে তখন অব্দি দ্রুততম ফিফটি ছিল এটিই। জো রুট ও কুমার সাঙ্গাকারার ৩৩ বলের ফিফটির রেকর্ড পেছনে ফেলেন উইলিয়ামসন। ‘ছিল’ বলার কারণ, পরে যে মার্শ ৩১ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ছাড়িয়ে গেছেন সেটা!

তবে ‘তখন অব্দি’ বিশ্বকাপ ফাইনালের দ্রুততম ফিফটি ছুঁয়েই থামেননি উইলিয়ামসন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড ছুঁয়ে তবেই থামেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। পরিস্থিতি বুঝে শেষটায় এসে ঝড় তুলেন তিনি। তবে শতরান করা হলো না। হেইজেলউডের বলে লং অফে ক্যাচ তুলে দেন স্টিভেন স্মিথের হাতে। ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ইনিংস থামে ৮৫ রানে। এটিই বিশ্বকাপের ফাইনালে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। গত বিশ্বকাপ ফাইনালে উইন্ডিজ ব্যাটার মারলন স্যামুয়েলসও তুলেছিলেন ৮৫ রান।

উইলিয়ামসন ছাড়া অন্য কিউই ব্যাটসম্যানদের তেমন আক্রমণাত্মক হতে দেয়নি অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। দুবাইয়ের ব্যাটিং উইকেটের ফায়দাটাও তেমন নেওয়া হয়নি। ওপেনার মার্টিন গাপটিল ৩৫ বলে ২৮ রান করতেই থামান অ্যাডাম জ্যাম্পা। গ্লেন ফিলিপস ১৭ বলে ১৮। জিমি নিশামও শেষ দিকে ৭ বলে ১৩ রান তুললে কিছুটা স্বস্তি পায় কিউইরা।

বল হাতে হেইজেলউড আগুন ঝরালেন। তার বোলিং ফিগারটা বাঁধিয়ে রাখার মতো ৪-০-১৬-৩! উল্টো পিঠে স্টার্ক ৪ ওভারে দিলেন ৬০ রান। নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খরুচে বোলিং এটিই। এমনকি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের সবচেয়ে ব্যবয়বহুলও। ২০১২ বিশ্বকাপের ফাইনালে ৪ ওভারে ৫৪ রান দেন লাসিথ মালিঙ্গা।




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!