মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দারুণ বছর কাটছে বাংলাদেশের। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় জয় দিয়ে বাংলাদেশ সফলতম বছর কাটিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। সব মিলিয়ে এ বছর ১৩টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। জিতেছে আটটি। এক পঞ্জিকা বর্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি জয়ের রেকর্ড এটিই। এর আগে ২০১৬ সালে ১৬ ম্যাচে সাত ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ।
২০১৮ সালেও সমান ম্যাচ খেলে জিতেছিল মাত্র পাঁচটিতে। এ বছর আরো টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তিন ম্যাচের পর বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করবে দল। বিশ্বকাপে প্রথম পর্বে তিন ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড, ওমান ও পাপুয়া নিউ গিনি। দ্বিতীয় পর্বে যেতে পারলে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত, পাকিস্তান, নিউ জিল্যান্ড, আফগানিস্তান ও বাছাই পর্ব পেরিয়ে আসা আরেক দল।
বিশ্বকাপের আগে জয়ের অভ্যাস দারুণভাবে গড়ে উঠছে বাংলাদেশ দলে। বছরের শুরুতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। হতশ্রী সেই সফরের পর বাংলাদেশ পাল্টে যায়। এর পেছনে বড় কারণ বাংলাদেশ স্কোয়াডে ফেরে সাকিব আল হাসানের মতো পরীক্ষিত ক্রিকেটার। জিম্বাবুয়েতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ।
দুটি সিরিজেই সাকিবের পারফরম্যান্স ছিল অনবদ্য। এবার নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেও সিরিজ জয়ের অপেক্ষায় বাংলাদেশ। রোববার সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ। এ ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেভাগেই নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ। নিজেদের সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্স নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বেশ খুশি, ‘আমি সবসময়ই বিশ্বাস করেছি, আমরা বিশ্বাস করেছি, আমরা এই সংস্করণে ভালো দল। স্রেফ নিজেদের সামর্থ্য ও স্কিলে আস্থা রাখার বিশ্বাসটা দরকার আমাদের, যেন বাংলাদেশকে কিছু জয় এনে দিতে পারি। এবার এই ধারা (জয়ের) ধরে রাখতে পেরে আমরা খুশি।’