নতুন বলে দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের পেসাররা। পাওয়ার প্লেতে ৪৫ রানে ভারতের তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে স্পিনাররা আক্রমণে এসে দুহাতে রান বিলিয়েছেন। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন নিতিশ রেড্ডি ও রিংকু সিং। তাদের জোড়া ফিফটিতে এই সংস্করণে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে ভারত।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান করেছে ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেছেন নিতিশ রেড্ডি।
নতুন বল মেহেদি হাসান মিরাজের হাতে তুলে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বল হাতে ইনিংস ওপেন করতে এসে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি মিরাজ। তিন বাউন্ডারিতে প্রথম ওভারেই ১৫ রান খরচ করেন এই ডানহাতি অফ স্পিনার।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে রানের লাগাম টেনে ধরেন তাসকিন আহমেদ। এই পেসারের প্রথম ৫ বল থেকে মাত্র ২ রান নিতে পারে ভারত। আর শেষ বলে পেয়েছেন উইকেটের দেখাও। এই পেসারের করা স্লোয়ার বুঝতে না পেরে ব্যাট চালান সাঞ্জু , ঠিকমতো টাইমিং না হওয়ায় ধরা পড়েন মিড অফে। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৭ বলে ১০ রান।
প্রথম ওভারে খরুচে থাকায় পরের ওভারেই মিরাজকে সরিয়ে দেন শান্ত। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে প্রথমবার আক্রমণে আসেন তানজিম সাকিব। এই বাঁহাতি পেসার বোলিংয়ে এসেই ফিরিয়েছেন অভিষেক শর্মাকে। এই বাঁহাতি পেসারের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল মারতে গেলে ব্যাটের ভেতরের অংশে লেগে বল স্টাম্পে আঘাত হানে। অভিষেক ফিরেছেন ১৫ রান করে।
২৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ধুঁকছিল ভারত। তাই দেখে-শুনে খেলার চেষ্টা করেছেন সূর্যকুমার যাদব। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ভারত অধিনায়ক। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে প্রথমবার আক্রমণে এসে সূর্যকে ফিরিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। এই বাঁহাতি পেসারের স্লোয়ার কাটারে মিড অফে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন সূর্য।
পাওয়ার প্লেতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ভারত। সেখান থেকে রিংকু সিংকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তুলেন নিতিশ কুমার রেড্ডি। চতুর্থ উইকেটে তাদের পাল্টা আক্রমণে ম্যাচে ফেরে ভারত। ৭৪ রান করে নিতিশ ফিরলে ভাঙে ১০৮ রানের জুটি।
এরপর ফিফটি পেয়েছেন রিংকুও। সাজঘরে ফেরার আগে ২৯ বলে ৫৩ রান করেছেন এই হার্ডহিটার। লোয়ার মিডল অর্ডারে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৯ বলে ৩২ রান। আর শেষ দিকে পরাগ ৬ বলে করেছেন ১৫ রান।
বাংলাদেশের হয়ে ৫৫ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন রিশাদ হোসেন। তাছাড়া ২টি করে উইকেট পেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম সাকিব ও তাসকিন আহমেদ।
খুলনা গেজেট/কেডি