বিশৃঙ্খলা বা নিয়ম ভেঙ্গে টিসিবি’র ট্রাক থেকে পণ্য নিলে এবার হবে জেল জরিমানা। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নিত্যপণ্য বিক্রিতে শৃঙ্খলা আনতে নেয়া হচ্ছে এমন উদ্যোগ। ট্রাকের তদারকিতে থাকছে সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় প্রশাসন।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারা দেশে এক কোটি পরিবারকে দেয়া হচ্ছে টিসিবি’র বিশেষ কার্ড। যার বিপরীতে মাসে একবার পণ্য কিনতে পারবেন ভোক্তারা।
দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির কারণে বাজারের তুলনায় কিছুটা স্বস্তায় নিত্যপণ্য কেনার জন্য মানুষের জটলার দৃশ্য এখন স্বাভাবিক বিষয়। তবে এতদিন অভিযোগ ছিল বিক্রি কার্যক্রমে শৃঙ্খলা না থাকায় দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িয়েও পণ্য না পাওয়ার। ভোক্তার চাহিদা বাড়ায় এবার তাই পরিবর্তন আসছে টিসিবি’র পণ্য বিক্রির ব্যবস্থাপনায়।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, টিসিবির ট্রাক যখন যায় তখন সামনের দিকে যারা থাকে তারাই কেবল পণ্য পায়। সেক্ষেত্রে আমরা টার্গেট মানুষদের কাছে এই পণ্য পৌঁছে দিব। আমরা প্রাথমিকভাবে ১ কোটি মানুষের তালিকা প্রস্তুত করা চেষ্টা করছি।
রাজধানী ও বরিশালে সিটি করপোরেশনের তত্বাবধানে আগের নিয়মেই চলবে ট্রাকসেল কার্যক্রম। পণ্য কেনা যাবে লাইনে দাড়িয়েই। এছাড়া সারা দেশে থাকছে বিশেষ কার্ড ব্যবস্থা।
ভোক্তারা জানান, একটা নির্দিষ্ট র্কাডের মাধ্যমে যদি এই টিসিবির পণ্য দেয়া হয় তাহলে চলমান সমস্যার অনেকটাই সমাধান সম্ভব।
এরই মধ্যে অনেক জেলা চলতি সপ্তাহেই কার্ডে পণ্য বিক্রির প্রাথমিক প্রস্তুতিও শেষ করেছে। নরসিংদীর জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান বলেন, নরসিংদীতে সর্বমোট ৬৮ হাজার ৩৫৩ জন মানুষ এই টিসিবির পণ্য কেনার সুযোগ পাবে। একটি পরিবার একটি কার্ডের মাধ্যমে পণ্য পাবে।
এছাড়াও টিসিবি’র নিত্যপণ্য বিক্রি কার্যক্রম তদারকিতে থাকবে মোবাইল কোর্টসহ বাজার নজরদারির দায়িত্বে থাকা সরকারের নানা সংস্থা। চলতি সপ্তাহ থেকেই আবারও আগের ভর্তুকি মূল্যেই টিসিবি’র সয়াবিন তেল, ডাল, চিনি ও পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রম শুরুর কথা রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই