সিলেটের ওসমানীনগরে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) এটিএম বুথ ভেঙে টাকা লুটের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
ডিবি বলছে, ভারতীয় টিভি সিরিজ ‘সিআইডি’ দেখে দুর্ধর্ষ এই চুরির কৌশল শিখেছিলেন তারা। এটিএম বুথ থেকে চুরি করা টাকা জুয়া খেলে খরচ করা হয়েছে।
যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন- নূর মোহাম্মদ, শামীম আহমেদ ও আব্দুল হালিম।
ডিবি জানায়, চক্রটির প্রধান শামীম আহম্মেদ। ওমান প্রবাসী শামীম বেশ কয়েক বছর আগে দেশে ফেরেন। দেশে এসে তিনি তেমন কোনো কাজ করছিলেন না। প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন শামীম নিয়মিত ‘সিআইডি’ দেখতেন। সিআইডি দেখেই অপরাধের পরিকল্পনা করেন তিনি। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী এটিএম বুথ থেকে টাকা লুট করা হয়।
বুধবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান যুগ্ম-কমিশনার হারুন অর রশীদ।
হারুন অর রশীদ বলেন, সিসি ক্যামেরায় কালো রঙ স্প্রে করা, মুখমণ্ডলে কাপড় পেঁচিয়ে শাবল দিয়ে বুথ ভাঙা, সবই ‘সিআইডি’ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে করা।
আলোচিত এ ঘটনায় সিলেটের ওসমানী নগর থানায় মামলা দায়ের হওয়ার পর থানা থেকে ডিএমপির সাইবার ইউনিটের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়। সে মোতাবেক কাজ শুরু করে ডিএমপির সাইবার ইউনিট। এরপর ঢাকা থেকে নূর মোহাম্মদ নামে এক দর্জিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হবিগঞ্জের হাওর এলাকা থেকে শামীম আহম্মেদ ও আব্দুল হালিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ বলেন, ঘটনা যদিও ডিএমপির মধ্যে না, তারপরও আমরা কাজ করছি। অপরাধীদের জানাতে চাই, দেশের যেখানেই এ ধরনের কাজ হোক, কেউ পার পাবে না। দেশের কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আমরা কাউকে ছাড় দেবো না।’
ডিবি বলছে, ১২ সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনায় মোট ২৪ লাখ লুট করা হয়। এর মধ্যে ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। টাকার একটি অংশ দিয়ে তারা জুয়া খেলেছে। এ ঘটনায় জড়িত জহির নামে একজন এখনও পলাতক।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবির সাইবার ইউনিটের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, লুট করা টাকা দিয়ে তারা জুয়া খেলেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমাদের জানিয়েছে। তদন্ত চলছে, সিলেট পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তারা আরও বিস্তারিত তদন্তে তুলে ধরবেন।
খুলনা গেজেট/এনএম