চুয়াডাঙ্গায় টানা তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এতে ঘরের বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। সোমবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত রোববার (২ এপ্রিল) থেকে টানা ৯ দিন মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে এ জেলার ওপর দিয়ে। যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
অতিরিক্ত তাপমাত্রায় হাঁসফাঁস করছে চুয়াডাঙ্গাবাসী। স্বস্তিতে নেই পশু-পাখিও। কাঠ ফাটা গরমে যেন নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবন। এতে অস্থির হয়ে পড়ছে জনজীবন। বিশেষ করে শহুরে মানুষ দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। বাতাসে আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় মানুষ মাত্রাতিরিক্ত ঘামছেন। বাইরে বের হলেই রোজাদাররাও কাহিল হয়ে পড়ছেন।
বৃদ্ধ দবির আলী বলেন, দুপুরের রোদে শরীর আর চলছে না তার। তাই সাইকেল পাশে রেখেই ঘুমিয়ে পড়েছেন আরেক দোকানদারের চৌকিতে।
ধানচাষি রাসেল বলেন, বোরোর ভরা মওসুমে তীব্র খরা। প্রতিদিন ধানে সেচ দিতে হচ্ছে। বৃষ্টি নেই। সেচ না দিলে ফলন হবে না। ডিজেলের দাম বেশি। খুব বিপদে আছি।’
ভ্যানচালক বাদশা বলেন, ‘সকালে একটু ভাড়া হচ্ছে। এরপর রোদ উঠলে আর ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। বসে থাকছি।’
দিনমজুর পিন্টু মিয়া বলেন, রোদে মাঠে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। একটু কাজ করছি আবার গাছের নিচে এসে জিরিয়ে নিচ্ছি।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ধারাবাহিকভাবে টানা ৯ দিন দেশের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা আরও বাড়বে।
খুলনা গেজেট/এমএম