খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ | ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গাজীপুরের শ্রীপুরের ভাংনাহাটিতে বোতাম তৈরির কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস
  শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল

টানা বৃষ্টিতে পানিতে ভাসছে বাগেরহাট শহর, প্লাবিত হয়েছে জেলার নিম্নাঞ্চল

নিজস্ব প্রতিবেদক,বাগেরহাট

বাগেরহাট শহরের বেশিরভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি অনেক এলাকায় হাটু পানি রয়েছে। জলবদ্ধতায় চরম দূর্ভোগে পড়েছেন শহরবাসী। দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবি জানিয়েছেন তারা।

এদিকে টানা বৃষ্টিতে মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা, রামপাল ও কচুয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পানিতে অনেকের ঘের ডুবে মাছ বেড়িয়ে গেছে। বুধবার রাত থেকে লাগাতার বৃষ্টিতে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেলে বাগেরহাট শহরের খানজাহান আলী রোড, রেল রোড, সাধনার মোড়, শালতলা, পিটিআই মোড়, খারদার স্কুল রোড়, জেলা হাসপাতাল মোড়, জেলা ডাকঘরের সামনে, বাসাবাটি, মিঠাপুকুরপাড় মোড়, পৌরসভার পাশে, জাহানাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সড়ক, মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের পিছনসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে নিমজ্জিত দেখা যায়। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ীতে পানি উঠে গেছে। সড়কে পানি জমে থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুন। পানিবন্দি পরিবারগুলো এখন দুর্বিসহ জীবনযাপন অনেক পরিবার।

এদিকে টানা বৃষ্টির ফলে পেটের টানে রাস্তায় বের হওয়া রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক চালকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। যাত্রী না থাকায় যেমন আয় নেই, তেমনি পানিতে নিমজ্জিত রাস্তায় দূর্ঘটনায়ও পড়েছেন অনেকে।

ইউছুপ নামের এক রিকশা চালক বলেন, পেটতো আর ঝড় বৃষ্টি বোঝে না। ৬ জনের সংসার চলে আমার পায়ের উপর। তাইতো সকালে বৃষ্টি মাথায় রিকশা নিয়ে বের হইছি। কিন্তু লোকজন নেই। সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ১৩৫ টাকা হইছে। কি আর করা, একেতো বৃষ্টি তার উপর রাস্তাগুলো পানিতে ডুবে গেছে, মানুষ বের হয়ে কোথায় যাবে।

জুমআর নামাজ শেষ করে মিঠাপুকুর পাড় দিয়ে বাসায় ফেরা পথচারী শাহিন মোল্লা বলেন, রাস্তাঘাট সব জায়গায় পানি, ড্রেনেজ ব্যবস্থা সঠিক না থাকার কারণে এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। হাঁটু সমান পানির মধ্যেই যাতায়াত করতে হচ্ছে। আর কবে স্বাভাবিক হবে এই পৌরশহর বলে আক্ষেপ করেন এই পথচারী।

রিকশাচালক হারুন বলেন, শহরের রাস্তাগুলো ভাঙাচুড়া, এরইমধ্যে লাগাতার বৃষ্টি । বৃষ্টি হলেই শহরের অধিকাংশ রাস্তায় জমে থাকে হাঁটু পানি। যাত্রী পাওয়া যায় না। ইনকাম করতে কষ্ট হয়। বৃষ্টিতে মটর নষ্ট হয়ে যায়। বৃষ্টির পানির সাথে ড্রেনের নোংরা পানি মিশে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।

শিশু হাসপাতালের পিছনে বসাবসকারি সঞ্চিতা নামের এক নারী বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘরের মেঝেতে পানি উঠে যায়। দুদিন ধরে রান্নাবান্না বন্ধ শুকনা খাবার খাচ্ছি। আমাদের এখানকার ৬ টি পরিবাবের একই অবস্থা। পানি নিষ্কাশন না হওয়া পযন্ত আমরা দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবো না।

পথচারি জুলফিকার আলী বলেন, ড্রেনের মুখগুলো দিয়ে পানি সরে না। দীর্ঘদিন ধরে ড্রেন পরিস্কার না করায় বৃষ্টির জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। হাঁটু সমান ময়লা পানির মধ্যেই চলাচল করতে হচ্ছে। আমরা দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান চাই।

জলাবদ্ধতার বিষয়ে জানতে চাইলে বাগেরহাট পৌরসভা সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল হক রিজভী বলেন, শহরে ৫ কিলোমিটার ড্রেনের কাজ চলমান রয়েছে। ড্রেনের কাজ শেষে ৫টি খাল খনন কাজ শুরু করা হবে। খালের কাজ শেষ হলে পৌরবাস জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!