ইন্টার মায়ামির জার্সিতে আবারও জ্বলে উঠেছেন লিওনেল মেসি। ৩৮ বছর বয়সেও গোলমুখে তার ধার একটুও কমেনি। এমএলএসে টানা চতুর্থ ম্যাচে করেছেন জোড়া গোল। দলকে এনে দিলেন গুরুত্বপূর্ণ জয়। আর সেই সঙ্গে লিখে ফেললেন এক অনন্য ইতিহাসও।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সকালে নিউ ইংল্যান্ড রেভল্যুশনের মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ২-১ গোলে জয় পায় মায়ামি। দুই গোলই করেন মেসি। প্রথমার্ধেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
এই জয়ে এমএলএসের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়েছেন মেসি। তিনিই প্রথম খেলোয়াড়, যিনি টানা চার ম্যাচে দুটি করে গোল করেছেন। এই যাত্রা শুরু হয়েছিল মে মাসে, মন্ট্রিয়লের বিপক্ষে জোড়া গোল দিয়ে। এরপর কলম্বাস ক্রু, আবারও মন্ট্রিয়ল এবং সর্বশেষ নিউ ইংল্যান্ড; সব ম্যাচেই মেসি ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে।
নিউ ইংল্যান্ড অবশ্য ম্যাচে পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণ ছিল ধারাবাহিক। ১৬টি শটের ৬টি লক্ষ্যে নিতে পারলেও মায়ামি গোলরক্ষক অস্কার উস্তারির দৃঢ়তায় কেবল একটি গোলই করতে পেরেছে। বিপরীতে মায়ামির ছিল ১৩টি শট, যার ৩টি লক্ষ্যে এবং ২টিই মেসির পায়ে গোল।
২৭তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুল কাজে লাগিয়ে প্রথম গোলটি করেন মেসি। ডিফেন্ডারের হেড থেকে বল পেয়ে হাফ-ভলিতে জাল কাঁপান তিনি। ৩৮তম মিনিটে আসে আরও চমৎকার এক গোল। মাঝমাঠ থেকে সের্হিও বুসকেতসের থ্রু পেয়ে বাঁ পায়ের নিচু শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আর্জেন্টাইন তারকা।
এই গোলের মাধ্যমে আরও একটি সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন মেসি। ওপেন প্লেতে বক্সের বাইরে থেকে গোল করার সংখ্যায় তিনিই প্রথম খেলোয়াড় যিনি ছুঁলেন ১০০ গোলের মাইলফলক। মেসির এএমএলএস মৌসুমে এখন পর্যন্ত গোল ১৪টি, সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তা দাঁড়াল ২০টিতে।
১৮ ম্যাচে ১০ জয়, ৫ ড্র আর ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে মায়ামি। শীর্ষে থাকা সিনসিনাটির চেয়ে পিছিয়ে আছে ৭ পয়েন্টে, তবে তাদের চেয়ে ৩টি ম্যাচ কম খেলেছে ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার কারণে।
খুলনা গেজেট/এএজে