ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে বেশ কয়েক দিন ধরেই আলোচনায় জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বেসেডর হিসেবে কয়েকটি বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এখন অনেকেই প্রতিষ্ঠানটির কাছে পণ্য না পেয়ে দায়ী করছেন মাশরাফিকে। কয়েকবার তার বাড়ির সামনেও ভিড় করেছেন ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা।
সোমবার(১৩ সেপ্টেম্বর) তার বাড়ির সামনে কয়েকজন নারী গ্রাহক ভিড় করেন। তারা তাদের পাওনা অর্থ আদায়ে মাশরাফির সহযোগিতা চান। এ সময় জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ‘শেষ নিঃশ্বাস অবধি তাদের সঙ্গে আছেন’ বলে জানান। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মাশরাফি নিজেই।
ই-অরেঞ্জের প্রতারণার টাকা আদায়ে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাশরাফি বিন মুর্তজার মিরপুরের বাসায় যান ভুক্তভোগী সাত-আট জন নারী গ্রাহক। তাদের একজন উম্মে হানি। তিনি ই-অরেঞ্জে ১৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। তিনি বলেন, আজ (সোমবার) আমরা সাত-আটজন (নারী গ্রাহক) মাশরাফি ভাইয়ের বাসায় যাই। সেখানে টাকা আদায়ের বিষয়ে তার সঙ্গে দুই-তিন ঘণ্টা আলোচনা হয়। আলোচনার একপর্যায়ে অনেকে কান্নাকাটি শুরু করে দেন। তখন মাশরাফি ভাই আমাদের বলেন, ‘আমি এটার (ই-অরেঞ্জ থেকে টাকা আদায়ের বিষয়ে) শেষ দেখে ছাড়ব। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। যদিও বিষয়টা এখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আছে, তাই আমার বেশি কিছু করার নেই। তবে আমি আপনাদের সঙ্গে আছি।’
তখনও সবাই শান্ত না হলে মাশরাফি ভাই বলেন, ‘আপনারা এভাবে কান্নাকাটি করলে এবং ভেঙে পড়লে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। তখন টাকার সঙ্গে সবই যাবে। আপনারা ধৈর্য ধরেন, টাকা আদায় না হওয়া পর্যন্ত মনে করেন জানের সদকা হিসেবে এ টাকা দিয়েছেন। আপনাদের টাকা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমি আপনাদের সঙ্গে আছি।’
উল্লেখ্য ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন এবং তার স্বামী মাশুকুর রহমানসহ তিনজন এখন কারাগারে। এজাহারভুক্ত বীথি আক্তারসহ দুজন পালিয়ে গেছেন। গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ই-অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্ত বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে ভারত-নেপাল সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফের) সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্দা সীমান্ত থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাকে আটক করে। ভারতে আটক সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ পুলিশ।
খুলনা গেজেট/ এস আই