করোনা প্রাদুর্ভাবের জন্য মোট ছয়টি টেস্ট সিরিজ বাতিল হয়েছে। যা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। টি-২০ বিশ্বকাপ স্থগিত হওয়ায় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুয়ার নতুন করে খুলছে। এখন স্থগিত হওয়া ছয়টি সিরিজ পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মাঠে গড়াবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি।
তবে সেজন্য তাড়াহুড়ো করবে না সংস্থাটি। স্থগিত হওয়া সিরিজ পুনরায় আয়োজন করা হলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে বাংলাদেশের ক্রিকেট। কারণ ছয়টি টেস্ট সিরিজের মধ্যে চারটিই বাংলাদেশের। করোনার কারণে বাংলাদেশ-পাকিস্তান, বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ-শ্রীলংকা এবং বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ স্থগিত হয়েছে।
বাকি সিরিজ দুটি শ্রীলংকা-ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকার। প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ হবে আগামী বছরের মার্চে। এর মধ্যে টেস্ট খেলুড়ে নয়টি প্রধান দল হোম-অ্যাওয়ে ভিত্তিতে মোট ছয়টি সিরিজ খেলবে। আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার জিওফ অ্যালারডাইস জানিয়েছেন, আমরা সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে স্থগিত হওয়া সিরিজগুলো পুনরায় শুরুর ব্যাপারে আলোচনা শুরু করেছি।’
আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন, ইংলিশ গ্রীষ্মের পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সিরিজটি আলোচনায় আছে। এরপর আবার নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডে সিরিজ (সিপিএল, আইপিএলের কারণে) দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গন খুলবে। বোর্ড মেম্বারই সেই সম্ভাবনা ধরে এগোচ্ছেন। ইংল্যান্ডের সিরিজ তাদের বিশ্বাস দিয়েছে পরিকল্পনা করে এগোতে পারলে মার্চের মধ্যে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম অংশ সম্পন্ন করা সম্ভব।
অ্যালারডাইস বলেন, ‘বিগত কয়েক মাসে আমরা দেখেছি পরিস্থিতি খুবই দ্রুত পাল্টে গেছে। কোন কোন সপ্তাহে মনে হয়েছে, কোন ধরণের খেলাই সম্ভব নয়। তবে দেশের সরকারের পক্ষ থেকে ছাড়পত্র দেওয়া শুরু হয়েছে। এখন আবার সিরিজ শুরু করা সম্ভব মনে হচ্ছে। এখন আমরা তাই অনেকগুলো সিরিজ নিয়েই আলোচনা শুরু করেছি। নভেম্বর-ডিসেম্বর, জানুয়ারি-ফ্রেবুয়ারি পর্যন্ত এখন ছয় থেকে আট মাস বাকি। আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে পুনরায় সূচি নির্ধারণের ব্যাপারে ধারণা পাওয়া যাবে।’