ক্রিকেটে কন্ডিশনের সুবিধা সব স্বাগতিক দেশই নেয়। বাংলাদেশ তাদের কন্ডিশনে কতোটা ভয়ঙ্কর হতে পারে সেটা দেখা গেছে গত অস্ট্রেলিয়া সিরিজেই। মন্থর উইকেটে বাংলাদেশি স্পিন ও পেসারদের স্লোয়ারের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি অজি ব্যাটাররা। একদিন পর বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আসবে নিউজিল্যান্ড। আবহাওয়া ও প্রতিপক্ষ বিবেচনায় নিউজিল্যান্ড সিরিজের উইকেটও হওয়ার কথা অস্ট্রেলিয়ার সিরিজের মতোই মন্থর। এমন উইকেটে কীভাবে ভালো করা যায় তার উত্তর খুঁজছে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশে আসার আগে দেশে আলাদা পিচ তৈরি করে অনুশীলন করছেন কিউই ক্রিকেটাররা।
মিরপুরের উইকেট এমনিতেই মন্থর। স্পিনারদের জন্য যতোটা সুবিধার, ব্যাটারদের জন্য রান তোলা ততোই কঠিন। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে আরও মন্থর দেখা গেছে মিরপুরের পিচ। পাঁচ ম্যাচের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১৩১। শেষ ম্যাচে মাত্র ৬১ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের অফস্পিন অলরাউন্ডার কল ম্যাকনকি জানালেন, এসব ম্যাচের ভিডিও দেখে প্রস্তুত হচ্ছেন তারা। উইকেটও বানিয়ে নেওয়া হয়েছে সুবিধা মতো।
বাংলাদেশ সিরিজকে সামনে রেখে কয়েকদিন ধরে দেশে অনুশীলন করছেন কিউই ক্রিকেটাররা। অনুশীলনের ফাঁকে সোমবার (২৩ আগস্ট) ম্যাকনকি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের বেশ কিছু ভিডিও দেখেছি। একটা ধারণা হয়েছে কন্ডিশন কেমন হতে পারে। লিংকনে আমাদের যে কদিন অনুশীলন হয়েছে, সেটা উপকারে আসার কথা। কারণ, মাঠকর্মীরা আমাদের জন্য যে উইকেট তৈরি করে দিয়েছে, সেটা আমাদের অনেক সাহায্য করবে বলে মনে হয়।’
বিশ্বকাপের আগে কোভিডকালীন ক্রিকেটে বাংলাদেশে অনেকটা দ্বিতীয় সারির দল পাঠাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। ইশ শোধী, মিচেল স্যান্টনারদের মতো স্পিনাররা নেই দলে। বাংলাদেশের স্পিনাবান্ধব উইকেটে দারুণ করার সম্ভবনা ছিল তাদের। অভিজ্ঞ স্পিনারদের বদলে বাংলাদেশ সফরের দলে ডাকা হয়েছে বাঁহাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেলকে।
এজাজ মূলত টেস্ট বোলার হিসেবই পরিচিত। এখন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের হয়ে নয় টেস্ট খেললেও টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মাত্র দুটি। অনুশীলনের ফাঁকে এজাজ বলেছেন, ‘উপমহাদেশের কন্ডিশন নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং। আমরা জানি, বাংলাদেশের মাটিতে আমরা ভিন্ন বাংলাদেশকে দেখতে পাব। ক্রিকেটটা সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে সেখানে। ঘরের মাঠে তারা খুবই শক্তিশালী, ওদের খেলাটা সম্পূর্ণ ভিন্ন ধাঁচেরই হবে। আমাদের কাজ হচ্ছে দ্রুত পরিস্থিতি বিবেচনা করা ও সেই অনুযায়ী মানিয়ে নেওয়া।’
অভিজ্ঞ স্পিনারদের বদলে দলে সুযোগ পেয়ে পারফর্ম করতে মুখিয়ে আছেন বললেন এজাজ, ‘নিউজিল্যান্ড দলে সুযোগ পেয়েছি। এটা আমার জন্য বিশেষ কিছু। স্পিনার হিসেবে এমন কন্ডিশনে খেলার জন্য সবাই মুখিয়ে থাকে। এমন কন্ডিশনে খেলব, যেখানে স্পিনাররা যথেষ্ট সহায়তা পাবে। স্পিনার হিসেবে আমাকে হয়তো বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। আমি নিউজিল্যান্ডের হয়ে সাদা বলের ক্রিকেট খেলার সুযোগের অপেক্ষায় আছি।’
উল্লেখ্য, সব কিছু ঠিক থাকলে মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বেলা ১২টায় বাংলাদেশে এসে পৌঁছার কথা নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের। বিমানবন্দর থেকেই হোটেলে গিয়ে তিন দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন কিউইরা। পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি মাঠে গড়াবে ১ সেপ্টেম্বর। সিরিজের বাকি ম্যাচগুলো মাঠে গড়াবে যথাক্রমে-৩, ৫, ৮ ও ১০ সেপ্টেম্বর।
খুলনা গেজেট/এমএম