ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কবিরপুরে খোন্দকার প্রাইভেট হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। খোন্দকার প্রাইভেট হাসপাতালে সিজারের পর বৃষ্টি খাতুন নামে এক প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিস। সেই সাথে চলছে তদন্ত।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. আলমগীর হোসেন কে প্রধান করে ৩সদস্যের গঠিত তদন্ত কমিটির অন্য ২ সদস্য হলেন ঝিনাইদহ শিশু হাসপাতালের ডাক্তার মিজানুর রহমান ও সদর হাসপাতালের ডাক্তার মেহেদী হসান।
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদ আল মামুন জানান, ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে কমিটি। গতকাল (১৭ এপ্রিল) সকালে কবিরপুরের খোন্দকার প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন সহ কার্যক্রম শুরু করেছে তদন্ত কমিটি।
প্রসঙ্গত, ঝিনাইদহের শৈলকুপায় খোন্দকার প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারের পর বৃষ্টি খাতুন নামের এক প্রসূতির মৃত্যু ঘটে। শনিবার দুপুরের দিকে কবিরপুরের খোন্দকার প্রাইভেট হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যুর এই ঘটনার পর পালিয়ে যায় ক্লিনিকের মালিক ফজলুর রহমান ও ম্যানেজার সাইদুল ইসলাম। কয়েকঘন্টা ধরে ক্লিনিকে শুধু রোগী ছাড়া ছিলেন না কেউ। এরপর সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারের ত্রুটিপূর্ণ চিকিৎসা ও অবহেলা জনিত কারণে এমন করুণ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বলে নিহত প্রসূতির স্বজন ও এলাকাবাসীর অভিযোগ।
নিহত প্রসূতি বৃষ্টি খাতুনের স্বামী মাসুম বিশ্বাস জানিয়েছেন, ডাক্তার ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর চিকিৎসাজনিত ত্রুটির কারণেই তার স্ত্রীর মৃত্যু ঘটেছে। অবশ্য এই সিজারিয়ান অপারেশনের ডাক্তার কনক হুসাইন দাবি করেন হঠাৎ খিঁচুনি বা একলামসিয়া জনিত কারণে প্রসূতির মৃত্যু ঘটে ।