ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আব্দুল হাইয়ের ব্যক্তিগত সহকারী শহিদুল ইসলাম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার (১৬ মার্চ) ভোরে থাইল্যান্ডের বামরুনদগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক মেয়ে দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি। মরদেহ দেশে আনার পর পারিবারিক কবরস্থানে আব্দুল হাইকে দাফন করা হবে বলে তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, কিছুদিন ধরে লিভার জটিলতাসহ নানা রোগে অসুস্থ হয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সংসদ সদস্য আব্দুল হাই। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পাঁচবার নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য।
১৯৫২ সালের পহেলা মে শৈলকুপা উপজেলার মহম্মদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আব্দুল হাই। বাবা ফয়জুদ্দিন মোল্লা ও মা ছকিরন নেছা দম্পতির ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
দেশ স্বাধীনের পর তিনি ঝিনাইদহ যুবলীগের আহ্বায়ক ও ১৯৭৩ সালে যুবলীগের মহকুমা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আশির দশকে জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। পরে ১৯৮৭ সালে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পরবর্তীতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সালে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। এর দুবছর পর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
বিএনপি-জামায়াত জোটের ক্ষমতায় আসার সেই নির্বাচনে সারা দেশে আওয়ামী লীগের ৫৮ জন প্রার্থী বিজয় লাভ করেছিল। যার মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইও ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এনএম