ঝিনাইদহে কোটচাঁদপুর পৌরসভার বড়-বামনদহ গ্রামে ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও নিখোঁজ ৩ যুবক নিখোঁজের সন্ধান মেলেনি। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
একাধিক সুত্রমতে, কোটচাঁদপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বড়-বামনদহ গ্রামের ৩ যুবক মাহফিল শোনার নাম করে (১৯ মার্চ) রবিবার সন্ধায় বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে তাদেরকে আর খুজে পাইনি পরিবারের লোকজন। কোন উপায় না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কোটচাঁদপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। নিখোঁজ ৩ যুবকের মধ্যে রয়েছে বড়-বামনদহ গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে পারভেজ হোসেন, রকিব উদ্দিনের ছেলে ওমর সানি রাব্বি, আনোয়ারের ছেলে রিয়াজ হোসেন।
এ ব্যাপারে রাব্বি হোসেনের দাদি রোকেয়া বেগম জানান, আমার পুতা ছেলে বাড়ি ছেড়ে কোন দিন বাইরে থাকেনি। কোন খারাপ সঙ্গও ছিলনা। তবে কয়দিন ধরে চলা ফেরায় এলোমেলো দেখা যায়। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া শুরু করে এবং গতিবিধি অনেক পাল্টে যায়। সে আমার ছোট ভায়ের ছেলে রিয়াজের সঙ্গে রবিবার সন্ধার সময় বের হয়। এরপর থেকে তার আর কোন সন্ধান পায়নি। সাথে ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে গিয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ঘটনা নিয়ে সোমবার রাতে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন পারভেজের পিতা মিজানুর রহমান। তিনি বলেছেন, আমার ছেলে রবিবার রাত ১১ টা পর্যন্ত বাসায় ছিল। হঠাৎ করে একটা ফোন আসে। এরপর তাড়াহুড়ো করে বের হয়ে যায় সে। তবে রেখে যায় তার ব্যবহারের মোবাইল সেট। সাথে করে নিয়ে গেছে সিম গুলো। তিনি অভিযোগের আঙ্গুল তোলেন রিয়াজের দিকে, সে তার ছেলেকে ফুসলিয়ে নিয়ে গেছে বলে দাবি তার।
নিখোঁজ রিয়াজ হোসেনের পিতা আনোয়ার হোসেন বলেন, রবিবার রাতে আমার ছেলে বাড়ি ছিলো। সোমবার থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। কাজের চাপে থানায় যাওয়ার সুযোগ হয়নি। আমার ছেলে কে অনেকে দোষারোপ করছেন। আমার ছেলেকেও পাওয়া যাচ্ছে না। আমিও চাই তারা ফিরে আসুক। ফিরে আসলে বোঝা যাবে আসল ঘটনা কি।
তিনি আরও বলেন, রিয়াজ চলে যাওয়ার পরের দিন ওর স্ত্রী ননদের বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আজ পর্যন্তু ফিরে আসেনি।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মঈন উদ্দিন বলেন , যারা গেছে প্রত্যেকে প্রাপ্ত বয়স্ক। এদের কেউ হারানোর কথা নয়। নিজের ইচ্ছায় হয়তো কোথায় গিয়ে কাজ করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এএ