ঝিনাইদহে ১৪ বছর পর হত্যা মামলার পলাতক আসামি আকতার হোসেন (৫৫)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬। আটককৃত আকতার হোসেন ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর এলাকার মৃত নুর আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত ২টায় গাজীপুরের বাহাদুরপুর পারটেক্স প্লাস্টিক লিমিটেডের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
র্যাব-৬ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর নাইম আহমেদ জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামি আকতার হোসেন গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ সালে চাঞ্চল্যকর ভ্যান চালক রেজাউল শেখ হত্যা মামলার ২নং আসামি। তিনি জানান, ভিকটিম রেজাউল শেখ এর সঙ্গে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘটনার দিন তাকে পরিকল্পিতভাবে গলা কেটে হত্যা করা হয়। উক্ত দিনে জনৈক ভাতিজা কাশেম নামের ব্যক্তি ভিকটিমের মোবাইলে ফোন করে। ফোন কল পেয়ে ভিকটিম স্ত্রীকে অবহিত করে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশের বাগানে পূর্ব থেকে দাড়িয়ে থাকা জনৈক বশির ও কবির নামের ব্যক্তিদ্বয়ের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। পরবর্তীত, ভিকটিমের স্ত্রীর ভাসুরের মেয়ে হালিমা খাতুন এর মাধ্যমে জানতে পারে যে, তার স্বামীর (ভিকটিম) এর লাশ ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের পেছনে দেলোয়ারের পুকুরের উত্তর পাড়ে বাগানের ভিতর পড়ে আছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে ভিকটিমের স্ত্রী একপর্যায়ে ভাসুরের মেয়েসহ অন্যান্য লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমের লাশে দেখতে পেয়ে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে বর্ণিত আসামি আকতার হোসেন এর নাম মামলার এজাহারে উল্লেখ ছিল না মর্মে জানা যায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্তে হত্যার অন্যতম মূল হোতা ধৃত আসামি আকতার হোসেনের নাম বেরিয়ে আসে।
এরপর র্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার চাঞ্চল্যকর ভ্যান চালক রেজাউল শেখ হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত ১৪ বছর ধরে পলাতক ২ নং আসামি জিএমপি গাজীপুর সদর থানাধীন বাহাদুরপুর এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে অভিযানিক দলটি ঘটনার সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে জিএমপি গাজীপুর সদর থানধীন বাহাদুরপুর পারটেক্স প্লাস্টিক লিমিটেডের ৩নং গেইটের সামনে হতে একটি যৌথ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর ভ্যান চালক রেজাউল শেখ হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত প্রধান পলাতক আসামী আকতার হোসেনকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। আসামিকে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
খুলনা গেজেট/কেডি