শৈলকুপায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি উপজেলার ছাত্তার মন্ডলের ছেলে আবুদল হালিম। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিলেন।
মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: মিজানুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শৈলকুপা উপজেলার দেবীনগর গ্রামের আব্দুল হালিম ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী ববিতাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ বাড়ির পাশের মেহগনি বাগানে ফেলে রাখে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় ববিতার মা সালেহা বাদী হয়ে ঘটনার পরেরদিন ২০ ডিসেম্বর থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রধান আসামি আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘবিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
ববিতা খাতুনের মা সালেহা বেগম জানান, আমার একমাত্র মেয়েকে নির্মমভাবে যে মারলো তার বিচার আল্লাহ করেছে। আমি খুব খুশি । তবে ওই পিচাশকে দ্রুত পুলিশ ধরে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে, আমি মরে যাওয়ার আগে ওর বিচার দেখে যেতে চাই।
তিনি আরও বলেন, দিনের পর দিন মেয়েকে নির্যাতন করে আসছিল। ৪ লাখ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় আমার মেয়ের জীবনটা চলে গেল। ‘সর্ব শক্তিমানের কাছে সবসময় চেয়েছিলাম যেন ওই কসাইয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি হয়। আল্লাহ আমার কথা শুনেছে। আমার কলজেডা আজ ঠাণ্ডা হইছে।’
বাদী পক্ষের আইনজীবী ও সরকারী কৌঁশুলী এড. বজলুর রশীদ জানান, এ রায়ে আমরা খুশী। তিনি আরও জানান, এ রায়ের মাধ্যমে সমাজে এমন বার্তা পৌঁছে যাবে যে, অন্যরা এমন ঘৃন্য অপরাধ করতে যেন সাহস না পায়।
খুলনা গেজেট/ এসজেড