ঝিনাইদহে সিমা খাতুন হত্যাকান্ডে নিহতের স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সোমবার তাকে ঝিনাইদহের সদর থানাধীন আরাপপুর এলাকা তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামির নাম জহিরুল ইসলাম। কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাসিন্দা সে।
র্যাবের পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিমা খাতুনের সাথে জহিরুল ইসলামের ৬ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আসামীকে ভিকটিমের বাবা যৌতুক বাবদ নগদ টাকা এবং সংসারের বিভিন্ন জিনিসপত্র প্রদান করেন। সংসার জীবনে ভিকটিমের একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কিছুদিন পর আসামী ব্যবসা করার কথা বলে ভিকটিমের নিকট ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। বিষয়টি জানতে পেরে ভিকটিমের পিতা তার অভাব অনটনের সংসার হতে ১ লাখ টাকা প্রদান করেন। পরে আসামি যৌতুকের অবশিষ্ঠ টাকা দাবি করে পুনরায় ভিকটিমকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে।
দাবি করা যৌতুকের বাকি টাকা না পেয়ে ১৩ মে সিমা খাতুনের সাথে আসামির বাকবিতন্ডা হয়। যৌতুকের বাকি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সহযোগী আসামিদের সহায়তায় জহিরুল লোহার হাতুড়ী দিয়ে সিমাকে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকে। গুরুতর আঘাত জহিরুল পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা চিকিৎসার জন্য সিমাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে ওইদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে সিমার বাবা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও সিমাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব ঝিনাইদহের অভিযানিক দলটি সদর থানাধীন আরাপপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আত্মগোপনে থাকা জহিরুলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এ মামলার অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পরবর্তীতে আসামি জহিরুলকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
খুলনা গেজেট/ এসজেড