ঝিনাইদহে মানব পাচার মামলায় মামা-ভাগিনাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ওই ভাগিনার মাকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। মানব পাচার মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন – মহেশপুর উপজেলার নলপাড়া গ্রামের মৃত আলী কদর মণ্ডলের মেয়ে মোছা. রওশনারা বেগম ওরফে বুড়ি বেগম, তার ভাই মোঃ ছানোয়ার হোসেন ও তার ছেলে বাপ্পী। বুধবার (২০ মার্চ) বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এ রায় দেন।
আদালতের সংক্ষিপ্ত রায়ে জানা যায়, আসামিরা ২০১১ সালের ২৮ ডিসেম্বর লাবনী খাতুন অপুকে ভালো কাজ ও বেতন দেওয়ার কথা বলে নিয়ে আসে তার মা রহিমা খাতুনের কাছ থেকে। আসামিরা লাবনীর মার সঙ্গে তিন মাস কোনো যোগাযোগ করেনি। এরপর মা তার মেয়েকে ফেরত চাইলে আসামিরা তাকে ঘুরাতে থাকেন। এ মানব পাচারকারীরা এক সময় তার মেয়েকে ফেরত দিতে অস্বীকার করেন।
ওই সময় আসামিরা লাবনী খাতুন অপুকে ফুসলিয়ে যৌনকর্ম করানোর উদ্দেশ্যে দেশে অথবা বিদেশে পাচার করেন। অবশেষে তার মা রহিমা খাতুন বাদী হয়ে ২০১২ সালের ১৩মে তিনজনকে সাক্ষী করে সদর থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি এজাহার দায়ের করেন।
দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালত তিনজনকে মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইনের ২০১২-এর ৭ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। একইসাথে পাঁচ লাখ টাকা অর্থ দণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় অপরাধীদের। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের তিনজন বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি