ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাজিপোতা গ্রামের এহতেশামুল মাহমুদ রাতুল হত্যার দায়ে বড় বোন মাহমুদা মমতাজ মিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভাই এহতেশামুল মাহমুদ রাতুল হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মিমকে শনিবার যশোর ডিবি কার্যালয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এর আগে হত্যার প্রধান পরিকল্পনাকারী দুলাভাই শিশিরকে চট্রগ্রামের পতেঙ্গা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে দোষ স্বীকার করে নেয়। শ্বশুরের উপর প্রতিশোধ নিতেই সে শ্যালককে হত্যা করে বলে পুলিশকে জানায়।
মহেশপুর ও যশোর পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গত ১১ জুলাই বাড়ি থেকে ঘুরতে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি রাতুল। এরপর ১২ জুলাই চৌগাছা থানাধীন লস্করপুর শ্মশান মাঠে পাটক্ষেত থেকে মুখে স্কসস্টেপ মোড়ানো অবস্থায় রাতুলের লাশ অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি দেখে লাশটি রাতুলের বলে শনাক্ত করে স্বজনরা। এ ঘটনায় রাতুলের পিতা মহেশপুরের বাজিপোতা গ্রামের মোঃ মহিউদ্দীন যশোরের চৌগাছা থানায় অজ্ঞাত আসামীদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলাটি চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস হওয়ায় যশোর ডিবি পুলিশের উপর তদন্ত ভার ন্যাস্ত করেন পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার।
যশোর ডিবি পুলিশের এসআই মোঃ শামীম হোসেন মামলার তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে নিহত রাতুলের ভগ্নিপতি শিশির আহম্মেদকে গত ১৭ জুলাই চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে গ্রেফতার করে মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করেন। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ভিকটিমের বোন মাহমুদা মমতাজ মীমকে গত শনিবার (৭ আগষ্ট) পিতা মহিউদ্দিনের মাধ্যমে ডিবি কার্যালয়ে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদে তার সংশ্লিষ্টতা আছে বলে প্রমাণিত হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে মাহমুদা মমতাজ মীম ডিবি পুলিশকে জানায়, ফেসবুকের পরিচয়ে শিশিরের সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এরপর তারা পালিয়ে বিয়ে করে। জামাই শিশির শ্বশুর শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রাখার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করলে শিশিরকে বিভিন্নভাবে অপমান করেন শ্বশুর। অপমানের প্রতিশোধ নিতেই শিশির ও মীম পরস্পর যোগসাজসে রাতুলকে হত্যার ছক আঁটে।
খুলনা গেজেট/ টি আই