ঝিনাইদহে তীব্র গরম আর রোদে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। সকাল ৮ টার পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। বিকাল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত তাপমাত্রার বারুদ উঠতে থাকে। কয়েক মাস বৃষ্টিপাত না হওয়ায় গরমের মাত্রাটা বেড়েছে।
তীব্র গরমে সব চেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। প্রকৃতির এমন আচরণে প্রাণ ওষ্ঠাগত তাদের। রোদের তেজে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকেই। কাজের চাপে বাড়ি থেকে বের হয়ে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়াতলে আশ্রয় নেন অনেকেই। গত কয়েকদিনের অব্যাহত তাপমাত্রায় বেশি কষ্ট পাচ্ছেন রোজদাররা।
শহরের পবহাটি এলাকায় আসা শৈলকুপা উপজেলার দুধসর গ্রামের ভ্যানচালক আমিরুল ইসলাম বলেন, ভাই কয়দিন খুব গরম পরচে। ভ্যান নিয়ে বাইরে আসা যাচ্চে না। গা ঘামে জাম ভিজে যাচ্চে। সকালে হাটে কলা আনিচি। কলা নামায়ে অস্তির হয়ে গেছি তাই গাছতলায় বসে আচি।
একই এলাকার ভ্যানচালক জাবেদ আলী বলেন, গতকাল রোজা থাকে খুব কষ্ট হয়চে। সকালে একটু গরম কম লাগলেও দুপুরের পর অসহ্য গরম লাগচে। বাইরে বের হওয়ায় যাচ্চে না।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার উদয়পুর গ্রামের চাষী সাহেব আলী বলেন, ২ দিন হলো প্রচন্ড গরম পড়ছে। মাঠে কাজ করা যাচ্ছে না। পাট নিড়াতে হবে তাই মাঠে এসেছি। কিন্তু রোদের যে তাপমাত্রা তাদের বেশিক্ষন কাজ করা যাবে না। এদিকে প্রচন্ড গরমের কারণে বেড়েছে ডায়রিয়াসহ গরমজনিত রোগ। বিশেষ করে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মেডিসিন রোগ বিশেষজ্ঞ ডা: জাকির হোসেন বলেন, গরম জনিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে বাশি-পঁচা খাবার পরিহার করতে হবে। তাছাড়াও ইফতারের ভাজা-পোড়া খাবার কম খেতে হবে। প্রচন্ড রোদ এড়িয়ে চলতে হবে। যথাসম্ভব ছায়া-শীতল স্থানে থাকতে হবে।
খুলনা গেজেট/কেএম