ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে কীটনাশক পান করে গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় মোবাইল ব্যবহারকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনমালিন্য হয়। এরপর ওই গৃহবধু কীটনাশক পান করে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত গৃহবধু হলেন সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের জনৈক জমির গাজির মেয়ে নুসরাত জাহান। তবে এ মৃত্যু নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মরদেহের গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, ৩ মাস আগে রাজনগর গ্রামের জমির গাজির মেয়ে নুসরাতের হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশাহাটিয়া ইউনিয়নের শাখারীদা গ্রামের মোজাম হোসেনের ছেলে মামুন হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। শনিবার সন্ধ্যায় তাদের উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে মামুন তার স্ত্রীকে আঘাত করে। পরে সকলের অজান্তে গিয়ে নুসরাত কীটনাশক পান করে। অসুস্থ্য হয়ে পড়লে স্বামীর পরিবার তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে যাওয়ার আগে তার মৃত্যু হয়।
নুসরাত জাহানের পরিবার থেকে জানা যায়, বিয়ের মামুনের অন্য জায়গায় পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। যেটি নুসরাতকে মেনে নিতে পারেনি। এই তিন মাসে উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। পরিবারের দাবি নুসরাতকে আঘাত করে মারার পর মুখে কীটনাশক দেওয়া হয়েছে।
কাপাশাহাটিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য ইসরাইল হোসেন জানান, মামুনদের পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি জানতে পেরেছেন ছেলের বউ কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছে। সকাল থেকেই লাশের সাথে রয়েছেন তিনি। হাসপাতাল থেকে জানতে পেরেছেন তার কানের নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশটি মর্গে রয়েছে, ময়না তদন্তের পরেই জানা যাবে হত্যা আত্মহত্যা ।
হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আজিফ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে পাঠানো হয়েছে । এ ব্যাপারে মৃতের পরিবার এখনও থানায় কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এসজেড