ঝিনাইদহ জেলায় হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দর পতন হয়েছে। ৩ সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি মরিচ ৩ শত টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন তা ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মরিচের ভরা মৌসুমে দরপতনে হতাশ হয়ে পড়েছে কৃষকেরা ।
কৃষকেরা জানান, এখন প্রতি কেজি মরিচ জমি থেকে উঠাতে খরচ হচ্ছে ১০ টাকা আর বাজারে পাইকারী বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ২৫ টাকা। বাজারে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২৮-৩০ টাকা দরে। তাছাড়া বাজারে আনতে পরিবহন, ঢলনের নামে ওজনে বেশি, বাজার পরিষ্কার খরচ নেন তারা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর ১ হাজার ৭ শত ২৪ হেক্টর জমিতে মরিচ আবাদ হয়েছে।
সদর উপজেলার চন্ডিপুরের মরিচ চাষি মিজানুর রহমান বলেন, মরিচ চাষের জন্য সার কিনতে গেলে চাহিদা মত পাওয়া যাচ্ছে না, আবার পাওয়া গেলেও দাম বেশি। আবার কীটনাশক বিষের দাম বেড়েছে কয়েক গুন। সবমিলিয়ে এই দামে তাদের লোকসানের আশঙ্কা।
সরেজমিনে সদর উপজেলার গোপালপুর, গান্না, কোটচাঁদপুর উপজেলার সাব্দারপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি মরিচ পাইকারি ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে কিনতে দেখা গেছে। ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা প্রতিদিন চাহিদা অনুযায়ী মরিচ কিনে থাকেন। কিন্তু বাজারে চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণ মরিচ আসছে। তাই দাম কম বেশি হচ্ছে।
কোটচাঁদপুর উপজেলার সাব্দারপুর বাজারে মরিচ বিক্রি করতে আসা সোনা মল্লিক বলেন, তিনি দুই বিঘা জমিতে নাবি মরিচ করেছেন। ভালো মরিচ ধরেছে। তুলতে ১০ টাকা প্রতি কেজি। বাজারে আনতে পরিবহন খরচ, ঢলনহ নানাভাবে খরচের পর টাকা পাই। এই দামে খরচের টাকাই উঠবে না। তিনি আরও বলেন, মরিচ দুপুরের আগে বা ১২ টার মধ্যে জমি থেকে তুলে বাজারে আনতে পারলে এই দামে বিক্রি করতে পারা যায়। আর দুপুর বা পরে আসলে দাম কম হবে।
ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগর আলী বলেন, বর্তমান নতুন গাছে মরিচ আসছে। উৎপাদন ভালো হচ্ছে, যে কারণে দাম কিছুটা কম।
খুলনা গেজেট/এসজেড