ঝিনাইদহের চাঞ্চল্যকর হাফিজ হত্যা মামলার প্রধান পরিকল্পনাকারীসহ দু’জনকে আজ মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬। আসামিদ্বয়কে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
গত ৫ অক্টোবর ভিকটিম হাফিজুর রহমান(৪২) নিজ বাড়ী থেকে দূর্গাপুজার উৎসব দেখার উদ্দেশ্যে বের হয়। রাতে বাড়ি ফিরে না আসলে তার ছোট ভাই ফোনদিলে ফোন বন্ধ পায় এবং বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোজাখুজি করে না পেয়ে গত ৭ অক্টোবর হরিনাকুন্ডু থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করে। পরবর্তীতে ৯ অক্টোবর হরিণাকুন্ডু থানাধীন কেষ্টপুর গ্রামের দুবলাকুড়ির কাটাখালের পাশে একটি ফাকা জমিতে এলাকার কিছু লোকজন রক্তের দাগ দেখতে পায়। স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে মাটি কেটে পায়ের কিছু অংশ দেখতে পায়। বিষয়টি র্যাব-৬ জানতে পেরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশ এবং র্যাব জনসাধারণের সহায়তায় মাটি খুড়ে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় অর্ধগলিত, দুই হাত-পা বৈদ্যুতিক ক্যাবল দিয়ে বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত লাশের পলিথিন খোলার পর মাথার পেছনের অংশে ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন দেখা যায় এবং পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পেটের নাড়িভুড়ি বের হওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। ভিকটিমের ছোট ভাই জাফিরুল ইসলাম(৩৬) উক্ত লাশটি দেখে সনাক্ত করেন এবং বাদী হয়ে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। উক্ত চাঞ্চল্যকর নৃশংস হত্যাকান্ডের পর হতেই র্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে।
র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী এবং অন্যতম সহযোগী আসামি ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার সাধুহাটি বাস টার্মিনাল এলাকায় পালানোর উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ১১ অক্টোবর ভোরে আভিযানিক দলটি ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার সাধুহাটি বাস টার্মিনাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী এবং অন্যতম সহযোগী আসামি মোঃ সেকেন্দার আলী(৪০), পিতা-মোঃ আনছার আলী বিশ্বাস, সাং-রিশখালী, মোঃ শাহিন জোয়ার্দ্দার(৪৩), পিতা- জব্বার আলী জোয়াদ্দার, সাং-কেষ্টপুর, উভয় থানা-হরিণাকুন্ডু, জেলা-ঝিনাইদহদ্বয়কে গ্রেপ্তার করে।