যশোরের মণিরামপুরে ঝাঁপা বাঁওড়ে বন্ধুদের সাথে নৌকা থেকে লাফিয়ে পড়ে নিখোঁজ সেই কলেজ ছাত্র আল ফারাহ শোয়েবের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার দুপুর একটা ৫মিনিটে ডুবুরিরা হুমায়ুন কবিরের মরদেহ উদ্ধার করেন। এসময় বাওড়পাড়ে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও সৈয়দ জাকির হাসান, থানার ওসি রফিকুল ইসলামসহ নিহতের স্বজনরা।
এরআগে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। প্রায় তিনঘন্টা অনুসন্ধান চালিয়ে তারা শোয়েবের লাশের সন্ধান পান।
মণিরামপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, ছেলেটি যেখানে লাফিয়ে পড়েছিল, সেখান থেকে ১০০ হাত উত্তর-পূর্বপাশে তার মরদেহ পাওয়া যায়। আমরা মরদেহ হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছি। সেখানে থানা পুলিশ মরদেহটি গ্রহণ করেছে।
মণিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, কিছু প্রক্রিয়া শেষে শোয়েবের মরদেহ তার স্বজনদের বুঝিয়ে দেয়া হবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে যশোরের একটি কোচিং সেন্টার থেকে ১৮ জন কলেজ শিক্ষার্থী রাজগঞ্জ বাজার সংলগ্ন ঝাঁপা বাঁওড়ের পশ্চিমপাড়ে পিকনিকে যায়। এরপর তারা সবাই জেলা প্রশাসক ভাসমান সেতুর তীর হতে নৌকায় চড়ে বাঁওড় ভ্রমণে বের হন। নৌকাটি রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিকটে পৌঁছুলে শোয়েব, তন্ময় ও রিফাত তিনবন্ধু নৌকা থেকে পানিতে সাঁতার কাটতে লাফ দেয়। তাদের মধ্যে তন্ময় ও রিফাত তীরে উঠে আসলেও নিখোঁজ হন শোয়েব।
খবর পেয়ে এদিন দুপুর একটা থেকে শোয়েবকে উদ্ধারে স্থানীয়দের সাথে পানিতে নামেন মণিরামপুর ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের সদস্যরা। এরপর বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে খুলনা থেকে আসা ডুবুরিরা উদ্ধার কাজে অংশ নেন। তারা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চালান।
শোয়েব যশোর সরকারি সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। সে যশোরের পুরাতন কসবা এলাকার শাহিন হোসেনের ছেলে। তার পিতা ঈগল পরিবহনের সুপারভাইজার।
খুলনা গেজেট/কেএম