খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, সজীব ওয়াজেদ জয় একজন পথ প্রদর্শক হিসেবে জাতিকে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথ দেখিয়েছেন। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের স্বপ্নদ্রষ্টা। তাঁর তীক্ষè মেধাশক্তি দিয়ে তিনি অনুভব করেছেন বাংলাদেশ মর্যাদার সাথে মাথা উঁচু করে দাড়াতে হলে আইসিটির কোন বিকল্প নেই। সে কারনেই তিনি বাংলাদেশকে ইন্টারনেটের আওতায় এনে প্রত্যেকটি সেক্টরকে দুর্নীতি মুক্ত করার কাজে হাত দিয়েছেন। আজ বাংলাদেশ দুর্নীতির তালিকায় থেকে নিচে নেমে এসেছে। এটা শুধু আইসিটির ব্যবহার আর মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটার কারনে।
তিনি আরো বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ক যদি সৎ মানুষ হয়। অবশ্যই তার পারিষদবর্গ সহ গোটা জাতির মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে বাধ্য। আজ জাতির অনেক পরিবর্তন হয়েছে তথ্য প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহারের কারনে। বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের বিল, জমির খাজনা, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন সহ সামগ্রীক কাজ ঘরে বসে করছে দেশের মানুষ। এমনকি তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের তরুণ প্রজন্ম ঘরে বসে বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করছে। এই বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনা মোকাবেলায়ও এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের যাবতীয় কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। যে কারনে বিশ্বের সব দেশ অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও বাংলাদেশ তার আয়ের ক্ষেত্রে অবিচল থেকে অবস্থানকে আরো মজবুত করেছে। আজ আমাদের এই অবস্থানকে আরো সমৃদ্ধিশালী করতে হলে জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫১তম জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা।
সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ফকির মো. সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা শ্যামল সিংহ রায়, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, হাফেজ মো. শামীম, অধ্যা. রুনু ইকবাল, এস এম আকিল উদ্দিন, এ্যাড. তারিক মাহমুদ তারা, এ্যাড. এনামুল হক, মোল্লা আব্দুল হাই, প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম তাপস, বাবুল সরদার বাদল, ফয়েজুল ইসলাম টিটো, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, মো. সেলিম মুন্সি, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, মো. শিহাব উদ্দিন, ওহিদুল ইসলাম পলাশ, আযম খান, শাহ মো. জাকিউর রহমান জাকির, আফরোজা জেসমিন বিথী, জাকির হোসেন হাওলাদার, এ্যাড. জেসমিন সুলতানা জলি, ফেরদৌসী আলম রিতা, রেখা খানম, নাসরিন ইসলাম তন্দ্রা, গাজী মোশাররফ হোসেন, আউয়াল হোসেন ছোটন, নজরুল ইসলাম, শেখ হারুন মানু, আব্দুল মালেক, রোজী ইসলাম নদী, ইলিয়াছ হোসেন লাবু, খান কবির, মাহমুদুর রহমান রাজেস, ওমর কামাল সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।