ঢাকা ছাড়ার আগেই বসুন্ধরা কিংসের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজন বলেছিলেন, তার টার্গেট প্রথম ম্যাচে মাজিয়াকে হারানো। বুধবার এএফসি কাপের ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে সেই কাঙ্ক্ষিত জয় দিয়ে আসর শুরু করল বাংলদেশী ক্লাবটি। মালদ্বীপের মালেতে স্বাগতিক মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশনকে ২-০ গোলে হারিয়ে তারা এখন যৌথভাবে ভারতের মোহানবাগানের সাথে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। কাল অন্য ম্যাচে ভারতের মোহনবাগান ২-০ গোলে হারায় স্বদেশী ব্যাঙ্গালুরুকে। ২১ আগস্ট বসুন্ধরার পরের ম্যাচ ব্যাঙ্গালুরুর সাথে।
মালদ্বীপের উজবেক গোলরক্ষক মীরজোখিদ মামাথখানভ তখন পোস্টের বেশ বাইরে। ইরফান সে বল ব্যাকপাস দিতে যান গোলরক্ষককে। কিন্তু বলটি মাজিয়ার শেষ প্রহরীর মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়ায়। এতক্ষণ সমান তালে খেলা মাজিয়া এই গোলের পর খেই হারিয়ে ফেলে। সেই সুবিধাই নেয় বসুন্ধরা। ৩৯ মিনিটে তা আরো কার্যকর হয় সেই ইরফানের ভুলে। তিনি বাধা দিতে গিয়ে ব্যর্থ বাংলাদেশী ক্লাবটির ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রবসন রবিনহোকে। ফলে বলের দখল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন রবিনহো। একটি দুরূহ কোণে বলের নিয়ন্ত্রণ নিলেও মাজিয়ার গোলরক্ষক তখন প্রথম পোস্টে কিছুটা জায়গা খালি রেখে পজিশন নেন। রবিনহো তা দেখেই ডান পায়ের তীব্র বাঁকানো শটে বোকা বানান বিপক্ষ কিপারকে। বল মীরজোখিদের হাতে লেগে গোললাইন অতিক্রম করে।
বিরতির পর রাইট উইংয়ে ইব্রাহিম হোসেনকে মাঠে নামিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালাতে থাকে মাজিয়া। চেপে ধরে বসুন্ধরাকে। বিপরীতে ২ গোলে এগিয়ে থাকা অস্কার ব্রুজনের দল কাউন্টারে গোল ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করে। ৬৮ মিনিটে বিশ্বনাথ ফাঁকায় বল পেয়েও ছোট বক্সের ওপর থেকে বল বাইরে পাঠিয়ে নষ্ট করেন সুযোগ। ৭৬ মিনিটে জোনাথন মাজিয়ার কিপারকে একা পেলেও তার শট নিলেও গোল হয়নি। বল মীরজোখিদের গায়ে লাগে। ফিরতি বলে বেচেরার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট।
মাজিয়া বেশ কিছু চেষ্টা করলেও বসুন্ধরার ডিফেন্স লাইন ও গোলরক্ষক জিকোর জন্য সফল হতে পারেনি। এএফসি কাপে মালদ্বীপের মাঠে বাংলাদেশের যেকোনো ক্লাবের এটি প্রথম জয়।
ম্যাচ শেষে বসুন্ধরার মিডফিল্ডার মাশুক মিয়া জনি বলেন, আমরা কাউন্টার অ্যাটাকে সফল ছিলাম ম্যাচে।
বসুন্ধরা কিংস : জিকো, তপু, শাফেই, বিশ্বনাথ ( সুশান্ত), তারিক, জোনাথন, রবিনহো, জনি, সুফিল (ইব্রাহিম), বিপলু (ফাহাদ), বেচেরা ( ইমন বাবু)।
খুলনা গেজেট/কেএম