জিততে হলে বিশ্বরেকর্ড গড়তে হবে জিম্বাবুয়েকে। লক্ষ্য ৪৭৭ রানের। পঞ্চম ও শেষ দিনে তাদের প্রয়োজন ৩৩৭ রান, বাংলাদেশের ৭ উইকেট। এমন সমীকরণ সামনে নিয়ে মাঠে নেমেছে দুই দল।
কিন্তু জেতার পথ তৈরি করা তো দূরের কথা, শেষ দিনে এসে বাংলাদেশের মনে ভয় জাগানোর মতো ব্যাটিংও করতে পারেননি জিম্বাবুয়ের কেউ। বরং হারারে টেস্টে সহজ জয়ের পথেই আছে সফরকারি দল। এখন বাংলাদেশের প্রয়োজন মাত্র এক উইকেট।
সবচেয়ে বড় কথা, জিম্বাবুয়ের স্বীকৃত সব ব্যাটসম্যানই আউট হয়ে গেছেন। পেসার ডোনাল্ড তিরিপানো প্রতিরোধ গড়ে উইকেটে আছেন। ৮৫ বলে তিনি করেছেন ২৭ রান। সঙ্গে ভিক্টর নিয়াচি ২৫ বলে অপরাজিত ২ রানে।
বোঝাই যাচ্ছে, জিম্বাবুয়ে এখন বল নষ্ট করে ম্যাচ বাঁচানোর চেষ্টা করছে। তবে দুই সেশন সামনে। লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের এই প্রতিরোধ টাইগার বোলারদের সামনে টেকার সম্ভাবনা বলতে গেলে শূন্যের কোটায়। এখন দেখার, জয়ের ব্যবধানটা কত বড় করতে পারে বাংলাদেশ।
এর আগে জিম্বাবুয়ের ডিওন মায়ার্স এবং ডোনাল্ড তিরিপানো ব্যাট করতে নামেন শেষ দিনে। মায়ার্স ১৮ এবং তিরিপানো ছিলেন ৭ রানে অপরাজিত। শেষ দিন আজ ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আউট হয়ে যান মায়ার্স। নামের পাশে কেবল ৮ রান যোগ করতে সক্ষম হন তিনি। ২৬ রান করে আউট হন তিনি মিরাজের বলে।
এরপর মাঠে নেমেই একই ওভারে মিরাজের শিকারে পরিণত হন তিমিসেন মারুমা। নামের পাশে কোনো রানই যোগ করতে পারেরনি তিনি। এরপর ব্যাট করতে নামেন রয় কাইয়া। ৫টি বল খেলতে পারলেও কোনো রান করতে পারেননি। এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান তাসকিনের বলে।
রেগিস চাকাভা মাঠে নেমে জুটি বাঁধার চেষ্টা করেন ডোনাল্ড তিরিপানোর সঙ্গে। কিন্তু তার জুটিও টেকার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। কারণ, তাসকিন আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে যান চাকাভা, করেন মাত্র ১ রান।
এর আগে জিম্বাবুয়েকে জয়ের জন্য ৪৭৭ রানের লক্ষ্য বেঁধে দেয় বাংলাদেশ। চতুর্থ দিন শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান তোলে স্বাগতিকরা। ওয়ানডে স্টাইলে খেলে ৭৩ বলে ৯২ রান করেন ব্রেন্ডন টেলর। আউট হন মিল্টন সাম্বা ১১ রানে এবং কাইতানো ৭ রানে।