প্রথম ইনিংসে ১০৭ রানের লিড নিয়ে সমর্থকদের স্বস্তির খবর দিয়েছে পাকিস্তান। তবে দ্বিতীয় ইনিংসটা ভাল করতে পারেনি পাকিস্তান। টপ এবং মিডল অর্ডারদের ব্যর্থতায় তৃতীয় দিন শেষে পাকিস্তানের স্কোর ছিল ১৩৮/৮।
তৃতীয় দিন শেষে লিড ছিল পাকিস্তানের ২৪৪ রান। এই লিডটাকে চতুর্থ দিনে কতো বাড়িয়ে নিতে পারে, সেটাই ছিল টেল এন্ডারদের পরীক্ষা। চতুর্থ দিন শেষ ২ পার্টনারশিপের স্থায়ীত্ব ১৬ বল হলেও টি-২০ স্টাইলে ব্যাটিংয়ে যোগ করেছে পাকিস্তান ২১ রান (১৬৯/১০) । ফলে লিডটাকে বাড়িয়ে নিয়েছে ২৭৬ রান পর্যন্ত।
আগের দিন ১২ রানে ব্যাটিংয়ে থাকা ইয়াসির শাহ চতুর্থ দিনের প্রথম বলে আরচ্যারকে ২ রান এবং এই ওভারে ২টি চার সহ ১১ রান নিয়ে ইংল্যান্ডের কপালে ফেলে দিয়েছিলেন দূর্ভাবনার ভাঁজ। দিনের দ্বিতীয় ওভারে ব্রডকে প্রথম বলে বাউন্ডারি,তৃতীয় বলে মিড অনে ছক্কায় তুলেছেন ঝড়।
ওই ওভারের ৫ম বলে লং অনের উপর দিয়ে খেলতে যেয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন। তাতে আক্ষেপ নেই। কারণ, মাত্র ১২ বলে ৫ চার,১ ছক্কায় পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৩ রান এসেছে তার ব্যাট থেকেই। ১৭ বছরের ছেলে নাসিম শাহ এসেই ব্রডকে মেরেছেন বাউন্ডারি। আরচ্যারকে দিনের তৃতীয় ওভারে প্রথম বলে ২, তৃতীয় বলে ৪ নিয়ে ৪র্থ বলে হয়েছেন বোল্ড। উইকেটহীন আরচ্যার শেষ স্পেলে (১.৪-০-১৪-১) দেখেছেন উইকেটের মুখ। ব্রডের তিন উইকেটের ইনিংসে ১ ওভারের শেষ স্পেলটি খরুচে (১-০-১৪-১)।
ম্যানচেষ্টার টেস্টে জিততে হলে ইংল্যান্ডকে করতে হবে ২৭৭ রান। চতুর্থ ইনিংসে ২৯৪ চেজ করে অবশ্য এই ভেন্যুতে জয়ের রেকর্ডটা আছে স্বাগতিকদের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই জয়টি ছিল ২০০৬ সালে। ১৪ বছর আগের সেই রেকর্ড থেকে টনিক নিয়ে ব্যাটিং করতে পারে জো রুটের দল চতুর্থ ইনিংসে। তবে চতুর্থ ইনিংস বলে কথা। তার উপর পাকিস্তানের এ্ই দলটির বোলিং বৈচিত্র দারুন।
খুলনা গেজেট/এএমআর