জ্বালানি তেলের দামে এত বড় অঙ্কের বৃদ্ধি সামাল দেয়া কঠিন হবে বলে মনে করেন ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘এক লাফে তেলের দামের এমন বৃদ্ধিতে চাপে পড়বে রপ্তানি খাত। সরকার চাইলে আগের মুনাফা দিয়েই জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করতে পারত।’
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে শনিবার এফবিসিসিআই কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এফবিসিসিআই সভাপতি এমন মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, জ্বালানি তেলের এতটা মূল্যবৃদ্ধির পরও কি বিদ্যুতের লোডশেডিং কমবে?
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম হঠাৎ এক দফায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করায় বড় ধাক্কা আসবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার চাইলে ধাপে ধাপে এই দাম বাড়াতে পারত। তাতে করে সরাসরি প্রভাবটা পড়ত না।’
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম এখন নিম্নমুখী। এমন অবস্থায় সরকার নিশ্চয়ই কোনো বিষয় বিবেচনা করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আগামীকাল (রোববার) জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব। তখন আমরা বুঝতে পারব আসল বিষয়টা কী?’
তিনি বলেন, ‘‘চলমান পরিস্থিতিতে তেলের দাম বাড়ানো খুবই চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করবে। এর প্রভাব আমাদের কৃষি, পণ্য পরিবহন ও যাতায়াতে পড়বে। ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে। আর এর ভুক্তভোগী হবেন সাধারণ মানুষ। মধ্যম সারির ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বিশ্ব পরিস্থিতি, বিশেষ করে ইউরোপ-আমেরিকার অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। যে পরিমাণ অর্ডার আসছে তাতে ইতোমধ্যে আমাদের তিন মাসের গ্যাপ সৃষ্টি হয়েছে। এখন বাস্তবতা বা আমরা কী পরিস্থিতিতে আছি এটা বোঝাতে হলে ‘মরিয়া প্রমাণ করিতে হইবে যে আমি মারা গেছি।’
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘যখন চাহিদা কম থাকে তখন ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান দাম কমানোর বিষয়ে একটা চাপ সৃষ্টি করে। এখন চাহিদা কমে গেছে। বায়াররা প্রেশার সৃষ্টি করবে দান কমানোর জন্য। তাই এখন ফ্যাক্টরি টিকে রাখার জন্য কম দামে পণ্য তৈরি করতে হবে। ফলে ব্যবসা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে দেশজুড়ে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪, পেট্রলের দাম ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ এবং অকটেনের দাম ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট / আ হ আ