দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে খুলনা টাইগার্সকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন আজম খান। কিন্তু বল হাতে দায়িত্বটা ঠিকঠাক সামলাতে পারলেন না খুলনার বোলাররা। বরং রান তাড়ায় চট্টগ্রামের নায়ক বনে গেলেন উসমান খান। তিনিও হাঁকালেন সেঞ্চুরি। জোড়া সেঞ্চুরির ম্যাচে খুলনাকে হারিয়ে প্রথম জয়ের দেখা পেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) বিপিএলে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনাকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম। দলের জয়ের ম্যাচে বড় ভূমিকা রাখেন সেঞ্চুরিয়ান উসমান। চট্টগ্রামকে জেতানোর পথে ৫৮ বলে ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দেন তিনি। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায়। উসমানের পাশাপাশি ৫৮ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন আরেক ওপেনার ম্যাক্স। শেষ দিকে নেমে আফিফ হোসেন করেন ৫ রান।
এর আগে ব্যাট করতে নামা খুলনার হয়ে এবারের বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি করেন আজম খান। পাকিস্তানি ক্রিকেটারের ব্যাটে চড়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ১৭৯ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় খুলনা টাইগার্স। কিন্তু উসমানের ব্যাটে সেই লক্ষ্য সহজেই তাড়া করে জয়ের নাগাল পেয়ে যায় চট্টগ্রাম। ১৯.২ ওভারে ১৭৯ রান করে জয় তুলে নেয় শুভাগত হোমের দল।
এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৭৮ রান তোলে খুলনা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০৯ রান করা আজমের ইনিংস সাজানো ছিল ৫৭ বলে ৯ চার ও ৮ ছক্কায়। অথচ ইনিংসের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি খুলনার। স্কোরবোর্ডে ১২ রান তুলতেই ছিল না ২ উইকেট। দলীয় ৫ রানে শুভাগত হোমের বলে মৃত্যুঞ্জয়ের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন শার্জিল খান। তার দেখানো পথে হেঁটে দলীয় ১২ রানে আবু জায়েদের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন হাবিবুর রহমান। এরপর দলের হাল ধরেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও আজম খান। তামিম ও আজম মিলে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ৯২ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ৪০ রানে বিজয়কান্তের বলে তামিম আউট হওয়ার সময় খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১০৪ রান।
তামিম আউট হলেও আজম খান শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। ৩৩ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া আজম পরের অর্ধশতকের জন্য খেলেন মাত্র ২৪ বল। ব্যাট হাতে এদিনও ব্যর্থ খুলনা অধিনায়ক ইয়াসির আলি রাব্বি। জিয়াউর রহমানের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২ বল খেলে করেন মাত্র ১ রান। চট্টগ্রামের পক্ষে ২ উইকেট শিকার করেন আবু জায়েদ। ১ উইকেট পেলেও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন শুভাগত হোম। ৩ ওভারে খরচ করেন মাত্র ১৫ রান, ছিল একটি মেডেন ওভার।