যশোরের মণিরামপুরে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৫-৬ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সকালে নিহত বাদলের মা আঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে না পারলেও অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর ঢাকুরিয়া বারপাড়া বিল এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হন যশোর সদর উপজেলার জয়ন্তা গ্রামের বাসিন্দা বাদল ও আহাদ। খবর পেয়ে রাতেই তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং শুক্রবার সকালে মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, ওই ঘটনায় নিহত বাদলের মা আঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৫-৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। আসামিদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার ঢাকুরিয়া উত্তরপাড়ায় জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। নিহত দু’জন হলেন, যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া জয়ন্তা গ্রামের আক্তার গাজীর ছেলে বাদল (২৫) ও নিকমল মোল্লার ছেলে আহাদ (৩০)।
স্থানীয় একটি সূত্র বলেছে, ডিশ ব্যবসার দ্বন্দ্বের কারণে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের পাশের বাড়ির বাসিন্দা নাসির বিশ্বাস বলেন, সন্ধ্যার কিছু পরে আমি বাড়ির উঠানে বসে ছিলাম। তখন রক্তাক্ত একজন দৌঁড়ে এসে বলে, ‘চাচা, আমারে বাঁচান।’ এই বলে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। তখন আমরা বাড়ির সবাই চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে নিয়ে ভ্যানে করে হাসপাতালে রওনা হয়। পথে সদর উপজেলার চাউলিয়া গেটে ওই ছেলেটির মৃত্যু হয়। পরে লোকজন এগিয়ে গিয়ে দেখে, আরেকজনের লাশ রাস্তায় পড়ে আছে।
নিহতদের স্বজনরা জানান, বাদল ক’দিন আগে নতুন মোটরসাইকেল কেনেন। ইন্টারনেট ব্যবসার পাশাপাশি তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে বাদল ও আহাদ বসুন্দিয়া জয়ন্তা বাজারে ক্যারামবোর্ড খেলছিলেন। তখন বাদলের মোবাইলে কল এলে তারা দুইজন মোটরসাইকেলে চেপে বেরিয়ে পড়েন।
খুলনা গেজেট /এমএম