পাওয়ার প্লে’তে ৪ ব্যাটসম্যানকে হারালেও মিডল এবং লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় প্রেসিডেন্ট কাপ ক্রিকেটের ফিরতি লড়াইয়ে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দলের বিপক্ষে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে তামিম একাদশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান স্কোরবোর্ডে তুলেছে দলটি। সর্বোচ্চ ৬২ রান এসেছে ইয়াসির আলী রাব্বির ব্যাট থেকে। মাহমুদউল্লাহ একাদশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন রুবেল হোসেন।
টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন তামিম ইকবাল। রুবেল হোসেন এবং আবু হায়দার রনিকে দুটি বাউন্ডারি হাঁকান এই ব্যাটসম্যান। তবে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে অফ স্টাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে নাঈম শেখের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তানজিদ।
৯ বলে এক রানে ফিরে যান এই তরুণ। এরপরের ওভারে আবু হায়দার রনির স্লোয়ার বলে জোরে মারতে গিয়ে পয়েন্ট অঞ্চলে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন বড় তামিমও। ১৩ বলে ৯ রান করে ফিরে যান এই অধিনায়ক।
খানিক পর নিজের দ্বিতীয় শিকার হিসেবে এনামুল হক বিজয়কে বিদায় করেন রুবেল। এক রান করে মাহমুদুল হাসানের হাতে ধরা পরেন তিনি। এরপর দুই রান করা মোহাম্মদ মিঠুন রুবেলের বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান।
মাত্র ১৭ রানে ৪ উইকেট হারানো তামিম একাদশকে সেখান থেকে টেনে তোলার দায়িত্বটা কাঁধে নেন ইয়াসির আলি এবং মাহিদুল ইসলাম। দুজন মিলে দেখে শুনে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। স্পিনারদের বিপক্ষে নিয়মিত সিঙ্গেল নেয়ার পাশাপাশি বাউন্ডারিতেও রান তুলতে থাকেন।
দেখে শুনে খেলে ৭৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইয়াসির। তবে ব্যক্তিগত ৬২ রানে রান আউটের ফাঁদে পরেন তিনি। ১১১ রানের জুটি ছিল তাদের। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ফিরলেও মোসাদ্দেকে সঙ্গে নিয়ে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন অঙ্কন। ৫৭ রানে অঙ্কন ফিরলেও মোসাদ্দেক এবং সাইফউদ্দিন মিলে দলকে টেনে নিতে থাকেন।
৩ চার এবং এক ছক্কার সাহায্যে ৪০ রান করা মোসাদ্দেক শেষ ওভারে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। এরপরের বলে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে সাইফউদ্দিনকে ফেরান নুরুল। দুটি উইকেটই পান এবাদত। এই দুজনের জুটি ছিল ৭৫ রানের। শেষ পর্যন্ত ২২১ রানের পুঁজি পায় তামিম একাদশ।
খুলনা গেজেট/এএমআর