শেষ সময়ে জমে উঠেছে খুলনার নগরীর জোড়াগেট কোরবানীর পশুর হাট। গত বৃহস্পতিবার রাতে হাটের অনেক পশু বিক্রি হয়ে যাওয়ায় কোরবানীর হাটে কিছুটা পশু সংকট তৈরি হয়েছিল। তবে সকাল থেকে আশপাশের উপজেলা থেকে ট্রলার ও ট্রাক ভর্তি গরু আসা শুরু হলে সংকট কেটে যায়। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে জমজমাট কেনাবেচা।
শুক্রবার দুপুর ২টা পর্যন্ত জোড়াগেট হাটে ২ হাজার ৮০৯টি গরু, ১ হাজার ৫০টি ছাগল এবং ২৯টি ভেড়া বিক্রি হয়েছে। মোট ৩ হাজার ৮৮৮টি পশু বিক্রি থেকে কেসিসির রাজস্ব আয় হয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৭ হাজার ১৩৫ টাকা।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার সকালে বৃষ্টি হওয়ায় হাটের পরিস্থিতি নাজুক হয়েছে। কোরবানীর গরু কিনতে গিয়ে কাদাকাটিতে মাখামাখি হয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা। তারপরও পছন্দের পশু কিনতে পেরে খুশি সবাই।
খুলনায় এ বছর ২২টি কোরবানীর পশুর হাট বসেছে। এর বাইরে নগরীর বয়রা, জিরোপয়েন্ট, লবণচরা, মাথাভাঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট গরু বিক্রি কেন্দ্রে বসেছে। ময়লাপোতা মোড়, সন্ধ্যা বাজারের সামনে, গল্লামারী, স্যার ইকবাল রোডে ছাগল বিক্রি হচ্ছে। এতে করে বড় হাটগুলোতে পশুর আমদানিও কমেছে।
হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটের ভেতরে পুরোটাই পশুর বর্জ্য ও কাদায় ভরা। এ কারণে স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা করা যায়নি। পশুর মলমূত্র, অব্যবস্থাপনায় জমে থাকা বর্জ্য ও পানি একসঙ্গে মিশে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এর মধ্যেও ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে পছন্দের পশু কিনছেন।
নড়াইল থেকে আসা মিজানুর রহমান বলেন, ‘দুটি গরু বিক্রি করেছি ২ লাখ ৫০ হাজারে। দাম মোটামুটি ভালোই পাচ্ছি।’
মানুষের আগ্রহ বেশি মাঝারি আকৃতির গরুতে। এসব গরু ১ লাখ ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। আবার ২ লাখ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দামের গরুও ভালোই বিক্রি হচ্ছে। ছোট কিছু গরুও বিক্রি হচ্ছে।
নিরালা আবাসিক এলাকা থেকে আসা সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাইরে অনেকে বলছেন এবছর গরুর দাম কম। কিন্তু হাটে এসে দেখছি উল্টোটা। তারপরও নিয়ম করেছি, সময়ও শেষ। পশু কিনেই বাড়ি ফিরবো।
খুলনা গেজেট/হিমালয়