শ্রীলঙ্কা সফর স্থগিত হলেও নতুন করে বায়ো-সেফটি বাবলে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন। বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) থেকে শুরু হতে যাওয়া এই বায়োবাবলের আগে ক্রিকেটারদের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া ক্রিকেটাররা কয়েকদিনের বিরতি কাটিয়ে আবারো কোচিং স্টাফদের অধীনে আনুষ্ঠানিক অনুশীলনে ফিরবেন। তাদের পাশাপাশি অনুশীলন শুরু করেছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররাও। বায়োবাবলের আওতায় জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এবং অনূর্ধ্ব-১৯ দল বিকেএসপিতে অবস্থান করবে।
অনুশীলন চলাকালে লাল বলে তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন ক্রিকেটাররা। ২ ও ৩ অক্টোবর দুই দলে ভাগ হয়ে দুই দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন ক্রিকেটাররা। ৩ অক্টোবর পুনরায় ক্রিকেটারদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে দ্বিতীয় করোনা পরীক্ষার জন্য। ৪ অক্টোবর বিশ্রামের পর ৫ ও ৬ অক্টোবর আবারো দুই দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ মাঠে গড়াবে। এরপর ৭,৯ ও ১২ অক্টোবর বিশ্রামের ফাঁকে ৮,১০ ও ১১ অক্টোবর ফের অনুশীলন করবেন ক্রিকেটাররা। ১৩, ১৪ ও ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জৈব সুরক্ষা বলয়ের নিরাপত্তায় ক্রিকেটারদের অনুশীলনের দ্বিতীয় ধাপ ১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ জাতীয় দল, অনূর্ধ্ব-১৯ ও কোচিং স্টাফদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্টে ফলাফলের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয় দল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল থেকে এবং অনূর্ধ্ব-১৯ দল বিকেএসপিতে থেকে তাদের অনুশীলন কার্যক্রম শুরু করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, হোটেল কর্তৃপক্ষ ও বিকেএসপির সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড খেলোয়াড়দের ব্যবহৃত স্থাপনা ও যানবাহস এসব বাবলগুলোকে এক করে সার্বিক জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করে তা বজায় রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
খুলনা গেজেট/এএমআর