র্যাবের হেফাজতে নেওয়ার সময় জেসমিনের গায়ে ৩ ভরির মতো স্বর্ণালংকার ছিল উল্লেখ করে মামা নাজমুল হক বলেন, গ্রেফতারের সময় তার হাতে স্বর্ণের চিকন দুটি বালা ছিল, দুটি কানের দুল ছিল, ১ ভরি ওজনের গলার চেইন ছিল, দুটি আংটি ছিল। এছাড়া দুটি মোবাইল ফোন ছিল। জব্দ তালিকা হিসেবে মামলার এজাহারে একটি মোবাইল উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে। বাকি মালামালের কোনো খবর পাইনি আমরা।
র্যাবের বিরুদ্ধে মামলা না করার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা মামলা করব না। মামলা করে কী লাভ? মামলা করলে রাষ্ট্র করবে। আমরা ন্যায়বিচারের আশায় আছি।
নওগাঁ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, র্যাবের পক্ষ থেকে জেসমিনকে আটেকর বিষয়ে আগে বা পরে জানানো হয়নি।
গত ২২ মার্চ নওগাঁ শহরের জনকল্যাণপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুলতানা জেসমিনকে আটক করে র্যাব। এরপর অসুস্থ অবস্থায় তাকে প্রথমে নওগাঁ সদর হাসপাতালে এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরদিন ২৩ মার্চ বিকালে রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এনামুল হক। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন শুক্রবার মারা যান জেসমিন। আটকের পর র্যাব হেফাজতে জেসমিনকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।
র্যাব হেফাজতে মারা যাওয়া সুলতানা জেসমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন যুগ্ম সচিব এনামুল হক। আটকের একদিন পর সুলতানা জেসমিনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন এনামুল হক। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, চাঁদপুরের হাইমচর থানার গাজীবাড়ী এলাকার বাসিন্দা আল আমিন ও সুলতানা জেসমিনসহ অজ্ঞাতনামা দুই-তিনজন ব্যক্তি যুগ্ম সচিব এনামুল হকের নাম ও পদবি ব্যবহার করে ফেসবুক আইডি খুলে বিভিন্ন লোকজনকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/কেডি