খুলনা জেলা প্রশাসক মোহান্মদ সাইফুল ইসলাম মহেশ্বরপাশা আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীণ গমের স্টীল সাইলোর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। শনিবার ( ৫ অক্টোবর) বেলা আড়াইটায় মানিকতলা খাদ্য গুদামের অভ্যন্তরে ভৈরব নদীর তীরে প্রকল্প স্থলে পৌঁছালে নির্মাণাধীন প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাঁকে স্বাগত জানান।
জেলা প্রশাসক প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখার পর খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স গ্রুপের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি এবং কাজের খোঁজখবর নেন।
মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন খুলনার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী, দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ, সহকারী কমিশনার( ভূমি) দেবাংশু বিশ্বাস, আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ প্রকল্পের ম্যানেজার প্রকৌশলী ওমর ফারুক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. তাজুল ইসলাম, মহেশ্বরপাশা খাদ্য গুদামের ম্যানেজার মো. মোশাররফ হোসেন, মেইনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার রাকেশ বিশ্বাস, প্রকল্পের ডিসিএম প্রকৌশলী আলী আজগর, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদ, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ইমরান হোসেন, একাউন্ট এন্ড এডমিন মো. আমিনুল ইসলাম,পাবলিক রিলেশন অফিসার এডভোকেট সঞ্চয় মন্ডলসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, তিনশত ৫৫ কোটি ৯১ লাখ সাত হাজার তিনশত ৮৯ টাকা ব্যয়ে আধুনিক স্টীল সাইলোর নির্মাণ কাজ ডিসেম্বর-২০২৪ এ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের ৮২ দশমিক ২ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ ২/১ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে খাদ্যশস্যের গুণগতমান বজায় রেখে তিন বছর পর্যন্ত গম সংরক্ষণ করা যাবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্পের আওতায় খুলনায় গমের স্টিল সাইল নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি। বাংলাদেশি কোম্পানি ম্যাক্স গ্রুপ এবং তুর্কি কোম্পানি আল তুনতাস যৌথভাবে প্রকল্পের কাজ করছে। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংক যৌথভাবে এ প্রকল্পের অর্থায়ন করছে।
স্টিল সাইলোটি নির্মিত হলে ৭৬ হাজার ২০০ মেট্রিক টন গম সংরক্ষণ করা যাবে এবং ৩ বছর পর্যন্ত গরমের গুণগতমান বজায় থাকবে। কোন হাতের স্পর্শ ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রযুক্তি নির্ভর মেশিন দ্বারা স্টিল সাইলোর ৬ টি ঢোল, চুল্লি বা বিনে গম সংরক্ষণ করা যাবে। প্রতিটি ঢোল, চুল্লি বা বিনের ধারণ ক্ষমতা ১২ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন।
খুলনা গেজেট/এএজে