কোন স্বৈরাচার জুলুম করে টিকতে পারে নি, এ সরকারও পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান। শুক্রবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে র্যালিপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বর্ণাঢ্য র্যালিতে অংশ নিতে জুমার পর থেকে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু কর। ঢাকার দুই মহানগরে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে নয়া পল্টনে জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। তারা জিয়াউর রহমান স্মরণে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে নয়াপল্টন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ বলে ‘জিয়াউর রহমান একজন সৈনিক ছিলেন।’ তিনি কিন্তু এ দেশের মানুষের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। অথচ আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্র, দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে শেষ করে দিয়েছে।
মঈন খান বলেন, আমি একটা কথা বলতে চাই, কোন স্বৈরাচার জুলুম করে টিকতে পারেনি, এ সরকারও পারবে না। আটকাতে পারবে না গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলনকে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশেকে সমৃদ্ধির জন্য বিএনপি গঠন করেছিলেন। দেশেকে দুর্ভিক্ষের কবল থেকে রক্ষা করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলেন। আজ তাদের অসম্মান করা হয়।
প্রধান বিচারপতির বিদায় কালের কথা তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ‘হস্তক্ষেপ মুক্ত না হলে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না।’ এ কথা কি ওনার আসার সময় মনে ছিল না? যাওয়ার সময় মনে হয়েছে। এখন বলে লাভ কি হবে। প্রত্যেকটি অপকর্মের বিচার হবে এই দেশে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এমএম